প্লাস্টিকের জায়গায় কাগজের থলে
২৩ মে ২০১৯উগান্ডায় প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যাপক ব্যবহার হয়৷ তবে রাজধানী কাম্পালার একটি রেস্তোরাঁ একটি ব্যতিক্রম৷ স্থানীয় ভাষায় ‘কাভিরা’ নামের এই প্লাস্টিক ব্যাগের বদলে এই রেস্তোরাঁয় কাগজের থলে ব্যবহার করা হয়৷ রেস্তোরাঁর ম্যানেজার ফিলিপ ডিসুজা বলেন, ‘‘আমরা অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব এবং আমরা কাভিরা ব্যবহার করে পরিবেশের ক্ষতি করতে চাই না৷ তাই এটি শুধু আমাদের জন্য নয়, আমাদের সন্তানসন্ততিদের জন্যও অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য৷’’
চলতি বছর উগান্ডায় কেনাকাটার জন্য প্লাস্টিকের ব্যাগ নিষিদ্ধ করার কথা চলছে৷ তার বদলে বায়োডিগ্রেডেবেল কাগজের থলে চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে৷ এমন প্রবণতার ফলে স্থানীয় নারীদের এক গোষ্ঠী কাগজের থলি বানানোর কাজে আরও উৎসাহ পাচ্ছে৷ স্থানীয় কলাগাছের তন্তু দিয়েই সেগুলি তৈরি হচ্ছে৷
উগান্ডার অনেক খামারে কলার তন্তুকে বর্জ্য হিসেবে গণ্য করা হয়৷ কিন্তু এই গোষ্ঠী তা দিয়ে কাগজ তৈরি করছে৷ পেপার ক্রাফট আফ্রিকা লিমিটেড কোম্পানির হ্যারিয়েট নানটালে বলেন, ‘‘আমরা কাঁচি দিয়ে এগুলি কাটি৷ তারপর পানিতে ফোটাই৷ তারপর প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে মিশ্রণ তৈরি করা হয়৷ আমরা তা মণ্ডে পরিণত করি, বিশাল আধারে পানির সঙ্গে তা ঢেলে দেই৷ পাতলা স্ক্রিন বা ছাঁকনিতে সেগুলি তুলে নিয়ে পানি ঝরিয়ে ফেলি৷ ফলে তন্তু উপরে থেকে যায়৷ তারপর ব়্যাকে ঝুলিয়ে সেগুলি শুকানো হয়৷’’
কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা রোদে শুকানোর পর সেটি শক্ত কাগজে পরিণত হয়৷ নারীরা সাবধানে সেই কাগজ কাজে লাগিয়ে একাধিক পণ্য তৈরি করেন৷ সাধারণ কাগজ থেকে শুরু করে কেনাকাটার থলে, বই ও গ্রিটিং কার্ড ইত্যাদি তৈরি হয়৷ হ্যারিয়েট নানটালে জানান, ‘‘গত বছর আমরা ক্যানাডায় রপ্তানির জন্য প্রায় ৫,০০০ কার্ড তৈরি করেছিলাম৷ তারপর অ্যামেরিকার জন্য প্রায় ২,০০০ কার্ড৷ নানা রকম মানুষ এখানে এসে এই পণ্য দেখে কিছু অর্ডার দেন৷ আমরা উৎপাদন করে তা পাঠিয়ে দেই৷’’
কাম্পালায় তাঁদের প্রধান খদ্দের হলো ক্রাফটের দোকান. রেস্তোরাঁ ও সুপারমার্কেট৷ প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ হলে তাঁদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে এই নারীদের আশা৷
জুলিয়াস মুগাম্বওয়া/এসবি
গতবছরের ছবিঘরটি দেখুুন...