1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উগ্র দক্ষিণপন্থা রুখতে উদ্যোগী ইইউ

২৬ জুলাই ২০১১

নরওয়েতে শুক্রবারের নৃশংস জোড়া হামলার পর জার্মানি সহ ইউরোপের দেশগুলোতে উগ্র দক্ষিণপন্থি প্রবণতা কীভাবে আটকানো যায় তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে তুমুল আলোচনা৷ সক্রিয় হচ্ছে ইইউ৷

https://p.dw.com/p/123vw
ইউরোপের মানুষ ধাক্কা খেয়েছে নরওয়ের ঘটনায়ছবি: dapd

স্বভাবতই নরওয়ের ঘটনায় এক ধরণের ধাক্কা খেয়েছে ইউরোপের মানুষ৷ কেননা নরওয়ের ঐ জোড়া হামলা চালায় যে, সেই ব্রেইভিক প্রবলভাবে মানববৈরী চিন্তাভাবনার মানুষ৷ ইউরোপে বহুসংস্কৃতির যে সমাজ গড়ে উঠছে, সে তার বিরোধী৷ বিদেশীরা তার কাছে অবাঞ্ছিত৷ যা কিছু উদার, তার প্রতি তার ঘৃণা সে লিখিতভাবে প্রকাশ করেছে৷ শুধু তাই না, সামাজিক গণতন্ত্রী, বাম, সবুজপন্থি সবার প্রতি তার রোষ৷ তার তীব্র ঘৃণা সে লালন করেছে তার দক্ষিণপন্থি ভাবনার মাঝ দিয়ে এবং দীর্ঘদিন ধরে৷ নরওয়ের মত শান্ত, উদার এক দেশে এরকম একজন দীর্ঘদিন ধরে এমন এক হত্যালীলার প্রস্তুতি নিতে পেরেছে সবার চোখের আড়ালে, এটা কোনভাবেই বুঝে উঠতে পারছেননা রাজনীতিকরা৷ তবে তাঁরা সতর্ক হচ্ছেন৷ উগ্র দক্ষিণপন্থার বিষয়টিকে ব্যাপক গুরুত্ব দিতে চাইছেন৷

আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ইইউ'র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক হবার কথা৷ সেখানে বিদেশীবৈরিতা এবং এধরনের উগ্রপন্থার বিষয়গুলোকে বিশেষভাবে স্থান দেয়া হবে৷ ইইউ কমিশনার সেসিলিয়া মালস্ট্রোয়েম'এর মুখপাত্র ব্রাসেলসে বলেছেন: ‘‘নরওয়ের এই ট্র্যাজেডির পর এটা এখন খুবই জরুরি হয়ে দেখা দিয়েছে৷''

Flash-Galerie Norwegen Anders Behring Breivik Gericht Anschlag Terror
নরওয়েতে জোড়া হামলাকারী ব্রেইভিকছবি: picture alliance/dpa

নরওয়ে ইইউ'র সদস্য নয়৷ তবে তাকেও এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হবে৷ বলা হয়েছে, ইইউ'র ২৭টি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা নরওয়ের সঙ্গে মিলে এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে অভিন্ন এবং যথাযোগ্য এক জবাব খুঁজে বের করতে সচেষ্ট হবেন৷ এক্ষেত্রে সব রকমের উগ্রপন্থা নিয়েই বিশদ আলোচনা হবে৷ এবং তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে৷

ইইউ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের অল্প আগে ইউনিয়নের একটি উগ্রবাদবিরোধী নেটওয়ার্কও কাজ শুরু করবে৷ এই নেটওয়ার্কের আওতায় বিশেষজ্ঞ, সমাজকর্মী, ধর্মীয় নেতা এবং পুলিশ ইন্টারনেট সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন৷ এই প্রকল্পের জন্য চার মিলিয়ন ইউরো অর্থও বরাদ্দ করা হয়েছে৷ ইইউ কমিশনার মালস্ট্রোয়েম একটি ব্লগে এই বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, ইউরোপের বিদেশীবৈরী দলগুলো ইসলাম-বিরোধী প্রচার চালিয়ে নির্বাচনে সফলও হচ্ছে৷ তিনি খেদ প্রকাশ করে বলেছেন যে, খোলামেলা, গণতান্ত্রিক ও সহিষ্ণু এক সমাজের গুরুত্বের কথা জোর দিয়ে বলার মত রাজনৈতিক নেতার সংখ্যা আজ যেন কমে এসেছে৷

প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন