উত্তপ্ত দিল্লি, দফায় দফায় বিক্ষোভ
এনআরসি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দিনভর উত্তপ্ত ছিল দিল্লি। প্রতিবাদ আটকানোর যাবতীয় ব্যবস্থা থাকলেও কার্যত দিশেহারা দেখালো পুলিশকে।
একলা প্রতিবাদ
ঠান্ডা এবং কুয়াশা উপেক্ষা করে সকাল থেকেই লালকেল্লার সামনে আসতে শুরু করেন প্রতিবাদকারীরা। কিন্তু পুলিশ জানিয়ে দেয় ১৪৪ ধারা থাকায় বিক্ষোভ দেখানো যাবে না। ফলে প্রতিবাদের নতুন পন্থা বেছে নেন বিক্ষোভকারীরা। জায়গায় জায়গায় একজন একজন করে দাঁড়িয়ে পড়েন।
তাতেও রেহাই নেই
একলা প্রতিবাদেও আপত্তি পুলিশের। ধরে নিয়ে যাওয়া হল বিক্ষোভকারীকে। তুলে দেওয়া হল পুলিশের বাসে।
পুলিশের ব্যারিকেড
ব্যারিকেড দিয়ে কার্যত ঘিরে ফেলা হয় লালকেল্লা এবং জামা মসজিদ। অসংখ্য বেসরকারি বাস ভাড়া করে রাখা ছিল প্রতিবাদীদের গ্রেফতারের জন্য।
প্রতিবাদ জামা মসজিদে
জামা মসজিদের ভিতরের সিঁড়িতে বসে পড়েন প্রতিবাদীরা। যেখানে পুলিশের পক্ষে ঢোকা সম্ভব নয়। অসংখ্য পোস্টার হাতে সেখানে সরব হন সব বয়সের মানুষ।
বিভেদের বিরুদ্ধে
এই দেশ সকলের। এমনই পোস্টার হাতে জামা মসজিদের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে এক ছাত্র।
জামা মসজিদে জামিয়ার ছাত্র
জামা মসজিদে এসেছিলেন শুক্রবার পুলিশের হাতে আক্রান্ত বেশ কিছু ছাত্র। সকলের সঙ্গে তাঁরাও প্রতিবাদ করেন।
মান্ডি হাউসে লাল
মান্ডি হাউসে এ দিন বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল ১৯টি বাম দলের। পুলিশ অবশ্য সেখানেও তাদের মিছিল করতে দেয়নি।
গ্রেফতার সীতারাম
মান্ডি হাউসে প্রতিবাদ সভায় যোগ দিতে এসে গ্রেফতার হন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
মেট্রো স্টেশন থেকেই গ্রেফতার
মেট্রো স্টেশন থেকেই গ্রেফতার করা হয় সভায় যোগ দিতে আসা ছাত্র এবং বাম কর্মীদের।
পুলিশের লাঠি
বাম কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জও করে পুলিশ। গ্রেফতার হন অসংখ্য ছাত্র এবং কর্মী।
পুলিশের বিরুদ্ধে সরব
পুলিশের লাঠির সামনেই তাদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন প্রতিবাদীরা। পুলিশ ভ্যানে উঠেও প্রতিবাদ দেখাতে থাকেন।
তবুও প্রতিবাদ
প্রতিবাদীরা এ দিন জানিয়েছেন, পুলিশ যতই চেষ্টা করুক, তাঁদের বিক্ষোভ জারি থাকবে। লাঠি উঁচিয়ে সরকার তাঁদের দমাতে পারবে না।