কাজ শুরু করেছে দুই কোরিয়া
৩০ এপ্রিল ২০১৮উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মিল রাখতে ঘড়ির কাঁটা আধ ঘণ্টা এগিয়ে আনবে৷ ২০১৫ সালে জাপানি ঔপনিবেশিক শাসনের অংশ হওয়ার অভিযোগ তুলে ঘড়ির কাঁটা পিছিয়ে দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া৷
শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন-জে ইনের মধ্যে বৈঠক শুরুর আগেই দক্ষিণ কোরিয়া লাউডস্পিকার বন্ধ করে দিয়েছিল৷ এসব লাউডস্পিকার দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় বসানো হয়েছিল৷ উত্তর কোরিয়ার নাগরিকসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের দেশটির প্রকৃত পরিস্থিতি জানাতে এসব লাউডস্পিকার ব্যবহার করা হতো৷ উত্তর কোরিয়াতেও এমন লাউডস্পিকার বসানো ছিল৷ দক্ষিণ কোরিয়ার সিদ্ধান্তের পর উত্তর কোরিয়াও তাদের লাউডস্পিকার সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷
দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে আসা এই দুটি ঘোষণাকে দুই নেতার বৈঠকের পর শুরু হতে যাওয়া সম্ভাব্য সুসম্পর্কের অংশ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷
শুক্রবার দুই নেতার বৈঠকে পরমাণুমক্ত কোরীয় উপত্যকা গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়৷ এছাড়া সেদিন দুই নেতার মধ্যকার ব্যক্তিগত আবেগ-উষ্ণতা ইতিবাচক এক আবহ সৃষ্টি করেছিল৷
ডয়চে ভেলের এশিয়া বিভাগের প্রধান আলেক্সান্ডার ফ্রয়েন্ড মনে করছেন, আন্তরিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত শুক্রবারের বৈঠকের মাধ্যমে কিম জং উন ও মুন জে-ইন সফলতার মানদণ্ডে তাঁদের উত্তরসূরিদের চেয়ে এগিয়ে গেছেন৷ প্রেসিডেন্ট হওয়ার মাত্র এক বছরের মধ্যে মুন জে-ইন উত্তর কোরিয়া নিয়ে তাঁর নীতির মাধ্যমে আগের দুই প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি সফলতা দেখিয়েছেন৷ আর কিম জং উন তাঁর বাবা ও দাদার চেয়ে উত্তর কোরিয়াকে প্রকৃত হুমকি হিসেবে তুলে ধরতে সমর্থ হয়েছেন৷
অবশ্য দীর্ঘমেয়াদে দুই নেতার বৈঠকের সাফল্য কতখানি অটুট থাকবে তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আলেক্সান্ডার ফ্রয়েন্ড৷ কারণ হিসেবে তিনি ২০০০ ও ২০০৭ সালের শীর্ষ সম্মেলন এবং তার পরবর্তী অবস্থা উল্লেখ করেন৷ ঐ দুই বৈঠকের পর তৈরি হওয়া আনন্দদায়ক পরিস্থিতি দ্রুতই মিলিয়ে গিয়েছিল বলেও জানান তিনি৷ এরপর উত্তর কোরিয়া আবার তাদের পরমাণু কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছিল৷ ফলে আলোচনা ভেঙে গিয়েছিল৷
এদিকে, চীন জানিয়েছে, আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক করবেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই৷
জেডএইচ/এসিবি (এপি, রয়টার্স, এএফপি)
গতবছরের সেপ্টেম্বরের ছবিঘরটি দেখুন...