উত্তর কোরিয়ার গুপ্তহত্যার সংস্কৃতি
মালয়েশিয়ায় কিম জং-উন-এর সৎ ভাইকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে৷ আর উত্তর কোরিয়ায় এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বা অভিযোগ কিন্তু এবারই প্রথম নয়৷
দলত্যাগের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
উত্তর কোরিয়ার শাসকগোষ্ঠী থেকে বেরিয়ে আসা হুয়াং ইয়ুং-ইয়পকে গোপনে কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করা হলেও তিনি শেষমেশ ৮৭ বছর বয়সে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন৷ ১৯৯৭ সালে উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় চলে যান তিনি৷
চাচাকে ‘কুকুরের খাবার করা হয়নি’
কিম জং-উনের চাচা জং সং থেককে একসময় দেশটির দ্বিতীয় ক্ষমতাশালী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হতো৷ তাঁকে হত্যার খবর গোটা দেশেই আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল৷ অনেক সংবাদমাধ্যম দাবি করে যে, ক্ষমতাসীন পরিবারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করায় তাঁকে ক্ষুধার্ত কুকুরের খাবার করা হয়েছিল৷ কিন্তু আসলে তেমনটা ঘটেনি বলে জানিয়েছে পিয়ংইয়ংয়ের কর্মকর্তারা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা৷ তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল৷
বর্বরতার গুজব
সৌলের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ২০১৫ সালে জানায় যে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুয়ন ইয়ং-চোলের মৃত্যুদণ্ড বিমানবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করে কার্যকর করা হয়েছে৷ তবে পরবর্তীতে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানায় ভিন্ন তথ্য৷ তাদের মতে, হোয়ান সম্ভবত জীবিত আছেন৷ উত্তর কোরিয়ায় বর্বরোচিত উপায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এরকম আরো গুজব শোনা গেছে৷
বিষাক্ত ইনজেকশন
উত্তর কোরিয়ার শাসক গোষ্ঠীর দলত্যাগকারী এবং বিরুদ্ধবাদী হিসেবে পরিচিত পার্ক সং-হককে হত্যা করতে এক ঘাতককে প্রস্তুত করেছিল পিয়ংইয়ং৷ ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ উত্তর কোরিয়ার সাবেক এক কমান্ডোকে হত্যার পরিকল্পনা করার অভিযোগে সং-হককে গ্রেপ্তার করে৷
প্রতিপক্ষকে সরিয়ে দেয়া?
উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং-উনের সৎ ভাইকে দুই নারী কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি৷ তবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়ার শাসকগোষ্ঠী হত্যাকারীদের পাঠিয়েছিল৷ ২০১১ সাল থেকে বিদেশে অবস্থান করছিলেন কিম জং-নাম৷