পিয়ংইয়ং-এ ‘আটক' মালয়েশীয়
৭ মার্চ ২০১৭গত মাসে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং-উনের সৎভাই কিম জং-নাম মালয়েশিয়ায় নিহত হন৷ কুয়ালা লামপুরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এ হত্যাকাণ্ডে দক্ষিণ কোরিয়ার গুপ্তচর সংস্থা প্রাথমিকভাবে উত্তর কোরিয়ার দিকেই সন্দেহের আঙুল তোলে৷ উত্তর কোরিয়ার দুই নারী এজেন্টই কিম জং নামকে হত্যা করেছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করে তারা৷ পরে কিম জং-নামের মুখ ও চোখ থেকে নেওয়া সোয়াবে ভিএক্স স্নায়ুর বিষের নমুনা পাওয়া যাওয়ার কথা জানায় মালয়েশীয় পুলিশ৷ তারা আরো জানায়, কিমকে হত্যার ব্যাপারে এক ইন্দোনেশীয় ও এক ভিয়েতনামি নারী এবং এক উত্তর কোরীয় পুরুষকে আটক করা হয়েছে৷ এছাড়া গোয়েন্দারা আরো সাতজনের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তাদের মধ্যে চারজন হত্যাকাণ্ডের পরই পিয়ংইয়াং-এ পালিয়ে গেছে বলে প্রাথমিক খবরে জানা যায়৷
সেই দু'জনকে নিয়েই নতুন করে সংকট৷ মালয়েশিয়ার পুলিশ বলছে, ওই দুই ব্যক্তি দেশে ফেরেননি, বরং এখনো তারা কুয়ালালামপুরের উত্তর কোরীয় দূতাবাসে আত্মগোপন করে আছেন৷ সঙ্গে এ-ও জানানো হয়েছে যে, দূতাবাসে কোনো অভিযান চালানো হবে না৷ পুলিশ অপেক্ষা করবে৷ এক সময় আত্মগোপন করা ব্যক্তিরা নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসতে বাধ্য হবে এবং তখনই তাদের আটক করা হবে৷
তবে পিয়ংইয়ং-এর দাবি, মালয়েশিয়া উত্তর কোরিয়ার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করছে৷ এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পিয়ংইয়ং আশা করে, কিম জং-নামের হত্যারহস্য উন্মোচনে মালয়েশিয়া সুষ্ঠু তদন্ত করবে৷
এদিকে মঙ্গলবার এক ঘোষণায় পিয়ংইয়ং কুয়ালালামপুরে নিজেদের কূটনীতিকদের নিরাপদ রাখার উদ্দেশ্যের কথা বলে মালয়েশীয় নাগরিকদের উত্তর কোরিয়া ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে৷ ঘোষণায় বলা হয়, এ নিষেধাজ্ঞা সাময়িক এবং সীমান্ত অতিক্রমে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মালয়েশীয়রা উত্তর কোরিয়ায় নিজেদের কাজকর্ম, ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবেন৷এর জবাবে মালয়েশিয়া জানিয়েছে, কুয়ালালামপুরের উত্তর কোরীয় কূটনীতিকদেরও যেতে দেয়া হবে না৷
এসিবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স, এপি)