উত্তর কোরিয়া প্রশ্নে মার্কিন প্রশাসনে বিভাজন
৩১ আগস্ট ২০১৭উত্তর কোরিয়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার ফলে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া সহ আঞ্চলিক দেশগুলিতে দুশ্চিন্তা বাড়ছে৷ দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন বাহিনীর যৌথ বাহিনীর মহড়ার ফলে ‘প্ররোচনা'-র জবাব দিতেই সামরিক তৎপরতা চলছে বলে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া৷ এবারের সামরিক মহড়ায় অবশ্য কম্পিউটার সিমুলেশনের উপরেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷
উত্তর কোরিয়ার হুমকির জবাব কী হওয়া উচিত, তা নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের মধ্যে পরস্পরবিরোধী অবস্থান দেখা যাচ্ছে৷ বুধবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় লেখেন, বর্তমান সংকটের সমাধানে সংলাপ কোনো জবাব হতে পারে না৷ তাঁর মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত ২৫ বছর ধরেউত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কথা বলে চলেছে, তাদের মুক্তিপণ দিয়ে চলেছে৷
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, কূটনৈতিক সমাধানসূত্রের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি এবং সেটা কখনোই হয় না৷ পেন্টাগনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার আগে তিনি আরও বলেন, তাঁরা দু'জনেই নিজেদের দেশের মানুষ ও স্বার্থরক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন৷ উল্লেখ্য, গত কয়েক দিনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন-ও বার বার কূটনৈতিক সমাধানসূত্রের আশা প্রকাশ করেছেন৷
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মধ্যেও উত্তর কোরিয়া প্রশ্নে আবার বিভাজন দেখা দিচ্ছে৷ সে দেশের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কড়া সমালোচনা করলেও চীন ও রাশিয়া নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা চাপাতে প্রস্তুত নয়৷ উত্তেজনা কমাতে এই দুই দেশ সব পক্ষের উদ্দেশ্যে সংযমের ডাক দিচ্ছে৷
এদিকে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে মার্কিন বাহিনী৷ এই কাজে বিশেষভাবে তৈরি একটি রণতরী হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের কাছে বুধবার এক জটিল পরীক্ষা চালিয়েছে৷ মাঝারি পাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অকেজো করে দেবার সেই মহড়া সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়৷
উত্তর কোরিয়া সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সে দেশ আরও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে চলেছে৷ বিশেষ করে প্রশান্ত মহাসাগরে গুয়াম দ্বীপে মার্কিন ঘাঁটির উপর হামলার প্রস্তুতি হিসেবে এমন পরীক্ষার প্রয়োজন বলে জানিয়েছে পিয়ং ইয়ং৷ ফলে জাপানের উপর দিয়ে আরও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷
এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এপি)