উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিরা আবার বিদেশে যেতে পারবেন
৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮সে সময় গ্রিসের নগর রাষ্ট্রগুলির মধ্যে যুদ্ধ লেগেই থাকতো৷ বহু চেষ্টা করেও বৈরিতায় রাশ টানা যেতো না৷ অলিম্পিক গেমস শুরু হয়েছিল সেই যুদ্ধ থামানোর জন্যই৷ এবং কী আশ্চর্য, যুদ্ধের দামামা খানিকটা হলেও কমেছিল সেই কয়েক শতাব্দী আগে৷
একই পথে কি হাঁটছে উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়া? যুদ্ধ এবং দু'দেশের রক্তক্ষয়ী ভাগ দেখেছে ইতিহাস৷ দেখেছে, যে কোনো ঘটনায় দু'দেশের মধ্যে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি৷ গত একবছরে উত্তর কোরিয়া অ্যামেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহারেরও হুমকি দিয়েছে৷ এক সময় মনে হয়েছিল, অ্যামেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে উত্তরের যুদ্ধ লাগলো বলে৷ অথচ উইন্টার অলিম্পিক্স বা শীতকালীন অলিম্পিক সেই সমস্ত বৈরিতায় সাময়িক জল ঢেলে দিয়েছে৷ দলে দলে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিরা পৌঁছে গিয়েছেন দক্ষিণে৷ শুধু তাই নয়, উত্তর কোরিয়ার যে সমস্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধির অন্য দেশে যাওয়ার ওপর জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, তা-ও সাময়িকভাবে তুলে নেওয়া হচ্ছে৷
চো হুই উত্তর কোরিয়ার জাতীয় ক্রীড়া অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান৷ এর আগে দেশের অন্যান্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও তিনি সামলেছেন৷ এবং সে সময়েই প্রোপাগান্ডা করার অভিযোগে জাতিসংঘ তাঁর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে৷ কিন্তু অলিম্পিকে তিনি উত্তর কোরিয়ার অন্যতম অতিথি৷ ফলে দক্ষিণ কোরিয়া জাতিসংঘের কাছে আবেদন করে যে, চো'য়ের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হোক৷ জাতিসংঘও সেই আবেদনে সাড়া দেয়৷ শুধু তাই নয়, উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদের অন্য দেশ থেকে বিলাসী সামগ্রী কেনার উপরেও নিষেধাজ্ঞা ছিল৷ সাময়িক সময়ের জন্য সেই নির্দেশও শিথিল করা হয়েছে৷ সবচেয়ে বড় কথা, কিম জং উনের সবচেয়ে ছোট বোন স্বয়ং দক্ষিণ কোরিয়ায় আসছেন অলিম্পিক্স উপলক্ষ্যে৷ সে দেশের ইতিহাসে এ এক বিরল ঘটনা৷
সব মিলিয়ে এক সুন্দর মৈত্রীভাব তৈরি হয়েছে উইন্টার অলিম্পিক্সকে ঘিরে৷ এখন দেখার, অলিম্পিক গেমসের পরেও এই সৌহার্দ্য বজায় থাকে কিনা!
এসজি/ এসিবি (ডিডাব্লিউ,রয়টার্স)