উত্তর কোরিয়ায় যৌন নিপীড়ন
১ নভেম্বর ২০১৮মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানায় যে, ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা উত্তর কোরিয়ায় অনায়াসে নারী নিপীড়ন চালিয়ে যান৷ শাস্তির কোনো ভয় তাঁদের না থাকায় সে দেশে নারী সুরক্ষার অবস্থা ভয়াবহ খারাপ৷
৫৪ জন উত্তর কোরীয় সাধারণ শরণার্থী ও ৮জন সাবেক সরকারি কর্মকর্তার সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি এই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কীভাবে সেখানে অহরহ যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটছে৷ সেখানে বলা হয়, সমাজের বিভিন্ন স্তরের ক্ষমতাবানেরা প্রায়ই নারীদের যৌন নিপীড়ন করেও সহজেই পার পেয়ে যান৷
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর পরিচালক কেনেথ রথ বলেন, ‘‘কিম জং উনের শাসনে কোনো নারীর বিচার পাওয়ার আশা খুবই কম৷ নারীদের এই বিষয়ে বলতে দিলে আমি নিশ্চিত, তাঁরাও বর্তমানে বিভিন্ন দেশে চলমান ‘মি-টু’ আন্দোলনের সাথে গলা মেলাতেন৷’
উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের বড় বড় নেতা থেকে জেলের রক্ষী বা পুলিশ বলতে গেলে সবার কিরুদ্ধেই যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে৷
‘ইউ ক্রাই অ্যাট নাইট, বাট ডোন্ট নো হোয়াই’, অর্থাৎ, ‘তুমি রাতের বেলা কাঁদো, কিন্তু কেন, তা জানো না’ শিরোনামের এই প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, সমাজের সব ধাপে অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণ থাকার ফলে নারীরা অভিযোগ দায়ের করেন না৷ শুধু তা-ই নয়, যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত অনেক ব্যক্তিই পুলিশ বা প্রশাসনের সাথে জড়িত৷ স্বাভাবিকভাবেই হয়রানির শিকার হওয়া নারীদের আইনের সাহায্য পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে৷
কর্পোরেট অফিসে কাজ করা নারীরাও নিস্তার পান না এই নিপীড়ন থেকে৷ প্রতিবেদনটি এমনটিই জানানো হয়েছে৷ এক নারী কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায় যে, যাদের হাতে অনেক ক্ষমতা, তারা সাধারণত আইনের আওতার বাইরেই থেকে যান৷ এমন ব্যক্তিদের কাছে নারী যেন খেলার পুতুল৷
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর মতে, উত্তর কোরিয়ার সরকার যৌন নিপীড়নকে যথাযথ গুরুত্ব দেয় না, অভিযুক্তদের আড়াল করে বলেই সেখানে বাড়ছে যৌন হয়রানির ঘটনা বাড়ছে৷
এসএস/এসিবি (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)