1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উত্তরাখণ্ডে এখনো সুড়ঙ্গে আটকে বহু মানুষ

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১

উত্তরাখণ্ডে এখনো দুইশর বেশি মানুষ নিখোঁজ। তাঁদের খোঁজে দিনভর তল্লাশি চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।

https://p.dw.com/p/3p8nU
সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে বোল্ডার, কাদা বের করছে উদ্ধারকারী দল। ছবি: REUTERS

হিমবাহ ফাটার পর ৬০ ঘণ্টা কেটে গেছে। উত্তরাখণ্ডের টানেলের ভিতর আটকে আছেন জনা ৩৫ মানুষ। তাঁদের উদ্ধার করার জন্য এখন আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন ইন্দো টিবেটান বর্ডার ফোর্স(আইটিবিপি), জাতীয় ও রাজ্যস্তরের বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রশিক্ষিত কর্মীরা।

এতটা সময় কেটে যাওয়ার পরেও তাঁরা যে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করতে পারেননি, তার কারণ, সুড়ঙ্গের মধ্যে ঢোকা যাচ্ছে না। সুড়ঙ্গের কিছুটা ভেঙে পড়েছে। তার উপর ছিল কাদা। একবার পরিষ্কার করার পর আবার নতুন করে কাদা এসে যাচ্ছে। অবশেষে যন্ত্র দিয়ে সে সব সরিয়ে সুড়ঙ্গে ঢুকতে পেরেছেন উদ্ধারকারীরা।

যাঁরা আটকে আছেন তাঁরা কী অবস্থায় আছেন, তা জানা যায়নি। উদ্ধারকারীরা তাঁদের কাছে পৌঁছতে পারলে সেটা বোঝা যাবে। উদ্ধারকারীরা হাই ভিসিবিলিটি জ্যাকেট, হলুদ রঙের হেলমেট পরে আলো নিয়ে ভিতরে ঢুকেছেন।

ইউ আকৃতির টানেলের ভিতরে পুরো অন্ধকার। এখনো বোল্ডার ও কাদা পড়ে আছে। তার মধ্যে খুব সাবধানে এগোতে হচ্ছে তাঁদের। আইটিবিপি-র মুখপাত্র বিবেক কুমার পাণ্ডে বলেছেন, সারা রাত ধরে কাজ করে টানেলের ভিতরে ১২০ মিটার এলাকা থেকে ধ্বসস্তূপ সরানো সম্ভব হয়েছে। তার ফলে বোল্ডার, কাদার উচ্চতা কিছুটা কমেছে।

উদ্ধারকারীরা ঢোকার পর দেখেন টানেলের দেওয়ালে ফাটল ধরেছে, সেখান দিয়ে জল পড়ছে। একজন চিৎকার করে বলেন, ''কেউ আর ভিতরে ঢুকবেন না।'' অন্যজন বলেন, ''দেওয়ালের দিকে আলো ফেলো।'' ভিতরে সারাক্ষণ পাথর পড়ছে। সঙ্গে জল। মেঝে জায়গায় জায়গায় বসে গেছে।

এখনো নিখোঁজ ২০৬

রাজ্য সরকার জানিয়েছে, এখনো ২০৬ জন নিখোঁজ। তার মধ্যে জনা ৩৫ জন তপোবন সুড়ঙ্গের ভিতর আছেন। মারা গিয়েছেন মোট ৩২ জন। এছাড়া এনটিপিসি-র নির্মীয়মান জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৩৯ জন কর্মী আছেন। আছেন ঋশিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ৩৯ জন কর্মী। বাকিরা গ্রামবাসী।

হিমবাহের প্রান্তে ধস

মঙ্গলবার সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, নন্দাদেবী হিমবাহের পাঁচ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় ধস নামার ফলেই উত্তরাখণ্ডে বিপর্যয় হয়েছে। উপগ্রহ থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে, হিমবাহের একেবারে শেষ অংশে ধস নেমেছিল। সেটাই ঋষিগঙ্গা নদীতে এসে পড়ে। এনটিপিসি ও ঋষিগঙ্গা প্রকল্পের থেকে কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)