উত্তেজনা নিরসনে রাশিয়ার সঙ্গে আগে আলোচনার পক্ষে শলৎস
১১ ডিসেম্বর ২০২১চ্যান্সেলর হিসেবে প্রথম বিদেশ সফরে প্যারিস ও ব্রাসেলসে গেছেন ওলাফ শলৎস৷ ফরাসী প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ ছাড়াও বৈঠক করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে৷
শলৎস এমন এক সময়েচ্যান্সেলরের দায়িত্ব নিয়েছেন যখন ইউক্রেন সীমান্তে মস্কোর সৈন্য সমাবেশ নিয়ে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে৷ গত সপ্তাহে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আগামী বছরের শুরুতে ইউক্রেনে রুশ সেনাবাহিনীর হামলা চালাতে পারে৷ এনিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিনকে সতর্ক করেছেন৷ এমন অবস্থায় প্যারিসে শলৎস-মাক্রোঁ বৈঠকে স্বাভাবিকভাবেই এই ইস্যুটি প্রাধান্য পেয়েছে৷ রাশিয়া সত্যিই ইউক্রেনে হামলা চালালে ইউরোপীয় ইউনিয়নও যে বসে থাকবে না সেই অবস্থান ব্যক্ত করেন শলৎস৷ তিনি বলেন, ‘‘যদি সীমান্ত লঙ্ঘনের কোন ঘটনা ঘটে তাহলে এটা পরিষ্কার যে জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্য অনেক দেশ এর জবাব দেবে৷’’
তবে তার আগে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনার পক্ষপাতী শলৎস৷ নরম্যান্ডিতে জার্মানি, ফ্রান্স, রাশিয়া ও ইউক্রেনের আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের আলোচনার একটি ভালো ভিত্তি আছে যা পুনরুজ্জীবিত করা প্রয়োজন, উদাহরণস্বরুপ নরম্যান্ডি আলোচনার কথা উল্লেখ করা যায়৷’’ যৌথ সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়া ইস্যুতে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা এড়ানোর পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেছে ফরাসী প্রেসিডেন্টও৷
যেকোন পরিস্থিতিতে জার্মানি ও ফ্রান্স যেন অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতিতে একই অবস্থানে থাকে তার উপর জোর দেন শলৎস৷ মাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি ব্রাসেলসে পৌঁছান৷ সেখানে গিয়ে তিনি ইউরোপের ঐক্য ধরে রাখার উপর জোর দেন৷ ইইউ প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন ও ইউরোপীয়ান কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেলের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি৷ রাশিয়া ছাড়াও তাদের আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর মধ্যে ছিল ইরানের পরমাণু চুক্তি, নর্ড স্ট্রিম ২ পাইপলাইন নিয়ে মতবিরোধ ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক৷ এইসব বিষয়ে ইইউর একক কৌশল নির্ধারণে জোর দেন শলৎস৷
এফএস/এআই (এএফপি, রয়টার্স)