1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উদ্বাস্তুদের জন্য সেলাইয়ের কোর্স

নাটালি মুলার/রুথ ক্রাউজে/এসি২ এপ্রিল ২০১৬

দু'জন জার্মান মহিলা একটি সেলাইয়ের ওয়ার্কশপ খুলেছেন, যেখানে উদ্বাস্তু মেয়েরা সেলাই-ফোঁড়াইয়ের কাজ শিখতে পারেন আর এই পন্থায় জার্মানিতে কাজ পেতে পারেন৷

https://p.dw.com/p/1INiA
সেলাইয়ের কোর্সে উদ্বাস্তুরা
ছবি: DW/N. Müller

জার্মানির ফ্রাংকফুর্ট শহরের বোর্নহাইম এলাকার একটি ছোটখাটো ওয়ার্কশপ৷ তাকের ওপর রঙিন কাপড়ের থান, দেয়ালে ঠেস দেওয়া রঙিন কাপড়ের রোল৷ এজরা নামের এক উদ্বাস্তু তরুণী মাঝের একটা বড় টেবিলের উপর ঝুঁকে পড়ে কাটা কাগজের প্যাটার্ন থেকে একটি ব্লাউজ বানাচ্ছেন৷

আরো দশ লক্ষ উদ্বাস্তুর মতো এজরা জার্মানিতে পৌঁছান ২০১৫ সালে৷ এজরার পরিবার যখন সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের চাপে সিরিয়া ছাড়ে, এজরা তখন দামেস্কে ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে পড়াশুনা করছিলেন৷ এজরা জার্মানিতে আবার ফ্যাশন ডিজাইন পড়তে চান, তবে তার জন্য তাঁকে জার্মান ভাষাটা ভালোভাবে রপ্ত করে নিতে হবে৷ ভাষাশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেলাইয়ের কল চালানো প্র্যাকটিস করে নিচ্ছেন৷ বলতে কি, এটাই তাঁর জার্মানিতে প্রথম চাকুরি৷

শিশুরাও সেলাই শিখছে
ছবি: DW/N. Müller

‘‘স্টিচ বাই স্টিচ''

ক্লাউডিয়া ফ্রিক পেশায় সিমস্ট্রেস, অর্থাৎ তিনি দর্জির কাজ জানেন; তাঁর সঙ্গি নিকি ফন আলফেন্সলেবেন হলেন গ্র্যফিক ডিজাইনার৷ দু'জনে মিলে এই ওয়ার্কশপটি সৃষ্টি করেছেন, নাম দিয়েছেন ‘‘স্টিচ বাই স্টিচ'' – অর্থাৎ একটি একটি করে সুচের ফোঁড়৷ ‘‘আমরা ভেবেছিলাম, (উদ্বাস্তুদের জন্য) আমরা কি করতে পারি'', বললেন ক্লাউডিয়া৷ তাঁর স্বপ্ন হলো, একদিন তাঁর ওয়ার্কশপের মেয়েরা তাদের নিজেদের সেলাই-ফোঁড়াইয়ের দোকান খুলতে পারবে৷

নিকি শোনালেন, এজরাকে যখন নেওয়া হয়, তখন এজরার বাবা কিরকম গর্বিত হয়েছিলেন; মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি তুলেছিলেন, কিভাবে তাঁর সবচেয়ে ছোট মেয়েটি পরিবারের সক্কলেকে ছাড়িয়ে সবার আগে জার্মানিতে চাকরি পেয়েছে, কাজ করতে শুরু করেছে৷

তবে নিকি আর ক্লাউডিয়ার সামনে এখনও কিছু প্রতিবন্ধক আছে৷ দুই মহিলারই নিজের বিজনেস চালানোর দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা; কিন্তু স্টিচ বাই স্টিচ একটা সম্পূর্ণ নতুন চ্যালেঞ্জ – বিশেষ করে অভিবাসন সংক্রান্ত সরকারি আমলাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে গিয়ে৷ একদিকে ফেডারাল কর্মসংস্থান দপ্তর, অন্যদিকে বিদেশি-বহিরাগত রেজিস্ট্রেশন অফিস৷ কোথাও কোনো আমলা বেঁকে বসলেই আর এক পা এগোনোর উপায় নেই৷ তবে সর্বত্রই তারা সহানুভূতি আর সহযোগিতা পেয়েছেন, বলে জানালেন নিকি৷

মানসিক শান্তি

শুধু যুদ্ধের বিভীষিকাই নয়, উদ্বাস্তুদের ইউরোপে আসতে যে কষ্ট পেতে হয়েছে, তাও কিছু কম বিভীষণ নয় – সে অভিজ্ঞতাও তার ছাপ রেখে গেছে৷ কাজেই এই রিফিউজি মেয়েরা স্টিচ বাই স্টিচ ওয়ার্কশপে এসে একটা শান্ত, সুন্দর, মানবিক পরিবেশ পাবে বলে দুই বান্ধবীর আশা৷

আপাতত এই ওয়ার্কশপ থেকে তাদের কোনো আর্থিক লাভ হচ্ছে না, তবে কালে তাঁরা ছোট ছোট জার্মান ফ্যাশন লেবেলদের জন্য জামাকাপড় ডিজাইন করতে পারবেন বলে দু'জনের আশা৷ স্থানীয় কিছু ফ্যাশন কোম্পানি নাকি ইতিমধ্যেই আগ্রহ দেখিয়েছে, বিশেষ করে তাঁরা উদ্বাস্তুদের নিয়ে কাজ করেন বলে৷ ভবিষ্যতের স্বপ্ন? বছরের শেষ অবধি এজরার মতো আরো চারজন সিমস্ট্রেস৷ তারপর জার্মানির অন্যান্য শহরে শাখা খোলা...

স্বপ্নের কি কোনো শেষ আছে?

আপনার কী মনে হয়? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান