উন্নয়নশীল বিশ্বে সহিংসতা, দমনপীড়ন বেশি হচ্ছে
২৫ মার্চ ২০১৮উন্নয়নশীল এবং উদীয়মান দেশগুলোতে গণতন্ত্র এবং বাজার অর্থনীতি ব্যবস্থার মান গত বারো বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে জার্মানির অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ব্যার্টেল্সমান ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত ‘ট্রান্সফরমেশন ইনডেক্স ২০১৮'- এ জানানো হয়েছে৷
গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বিশ্বের ১২৯টি দেশের গণতন্ত্র, অর্থনীতি এবং শাসনপদ্ধতিতে কী ধরনের উন্নতি হচ্ছে তা অনুসন্ধান করা হয়েছে৷ ব্যার্টেল্সমানের গবেষকরা মনে করেন, বিশ্বের অনেক দেশে গণতন্ত্র হুমকির মুখে রয়েছে এবং দমনপীড়ন ও সমাজের মধ্যে সমবর্তন বাড়ছে৷
‘‘বিশ্বের অনেক মানুষ এখন শুধুমাত্র বৈষম্যপূর্ণ নয়, দমনাত্মক পরিবেশেও বসবাস করছে,'' জানিয়েছে ফাউন্ডেশনটি৷
গত সপ্তাহে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি অনুযায়ী, বিশ্বের ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন মানুষ বর্তমানে স্বৈরতন্ত্রের মধ্যে বসবাস করছে৷ আর ৪ দশমিক ২ বিলিয়ন মানুষের অবস্থান গণতন্ত্রের মধ্যে৷ অথচ, ২০০৩ সালেও অগণতান্ত্রিক দেশে বসবাসরত মানুষ ছিল মাত্র ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন৷ পাশাপাশি গত দুই বছরে স্বৈরতান্ত্রিক দেশের সংখ্যা ৫৫ থেকে বেড়ে ৫৮টি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে৷ এই তালিকায় নতুন যোগ হওয়া দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে৷
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, গত দশ বছরের ২২টি দেশে উন্নয়নের হার আগের চেয়ে কমে গেছে৷ এসব দেশের মধ্যে ভেনেজুয়েলা, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা রয়েছে৷
শুধুমাত্র স্বৈরচারী শাসকরাই দমনপীড়ন চালাচ্ছে বলে মনে করছে না প্রতিষ্ঠানটি৷ বরং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত কিছু সরকারও কঠোরহস্তে বিরোধী মতামত দমন করছে বলে মত দেয়া হয়েছে প্রতিবেদনে৷ এক্ষেত্রে ব্রাজিল, তুরস্ক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র পোল্যান্ডের কথা উল্লেখ করা হয়েছে৷
ব্যার্টেল্সমান ফাউন্ডেশনের প্রধান আর্ত দ্যঁ গুশ বলেছেন, ‘‘অনেক শাসক তাদের নেতৃত্ব সুরক্ষিত করতে দমনমূলক নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছে৷''
দুর্নীতি দমন, সমঅধিকার নিশ্চিত এবং কার্যকর বাজার অর্থনীতির জন্য গণতন্ত্রই ভালো উল্লেখ করে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে যে, তুরস্ক এবং হাঙ্গেরির মতো ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের দেশগুলোর শাসকরা নির্বাচনি প্রচারে দুর্নীতি প্রতিরোধের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তীতে তা পূরণে ব্যর্থ হয়৷
প্রতিবেদন: ডার্কো জানজেভিচ/ এআই