উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশে থাকবে জার্মানি
৩০ নভেম্বর ২০১১মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকায়, দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন জার্মান প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ৷ বাণিজ্যমন্ত্রী কর্ণেল (অব.) ফারুক খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও দেখা হয় প্রেসিডেন্ট ভুল্ফ-এর৷ সেই দলেই উপস্থিত ছিলেন নৌ ও জ্বালানি শিল্পে সক্রিয় কনসাল্টিং গ্রুপ ‘গ্যার্মানিশের লয়েড' বা জিএল-এর বাংলাদেশ দপ্তরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম মাসুদ করিম৷
ডয়চে ভেলেকে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, জার্মান প্রেসিডেন্ট বিশেষভাবে দু'দেশের অতীত এবং বর্তমান সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন৷ বলেন আইনস্টাইন, রবীন্দ্রনাথের কথা৷ জোর দেন ভবিষ্যতে সে সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করার জন্য৷ এছাড়া, বাংলাদেশকে একটি স্থিতিশীল দেশ হিসেবে অভিহিত করে উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশে থাকারও আশ্বাস দেন জার্মান প্রেসিডেন্ট৷
সম্প্রতি বাংলাদেশ ও জার্মানির বাণিজ্য প্রায় ৫০ ভাগ বেড়েছে৷ তাই ব্যবসায়ীরা ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ-এর এই সফরকে বিবেচনা করছেন বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ হিসেবে৷ আর সেই সুযোগের কথাই বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ-এর প্রধানের উপস্থিতিতে আবারো তুলে ধরেন বাংলাদেশ-জার্মান চেম্বার্স অব কমার্স-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারিয়া সিদ্দিকী৷
মনে রাখতে হবে, পোশাক শিল্পের পর এবার জাহাজ নির্মাণ শিল্পেও সাফল্যের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ৷ অথচ এই তো কিছুদিন আগেও জাহাজ কেনার জন্য ধনী দেশগুলো ছুটে গেছে চীন, জাপান, মালয়েশিয়া কিংবা কোরিয়ার কাছে৷ কিন্তু এখন, বাংলাদেশের জাহাজ তৈরির প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে ঝুঁকছে পশ্চিমের দেশগুলো৷ ইতিমধ্যে চারটিরও বেশি বড় জাহাজ বিক্রি করেছে বাংলাদেশ৷ এছাড়া জার্মানি, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে এবং মোজাম্বিকসহ বেশ কিছু দেশ থেকে আরো অনেকগুলো জাহাজ তৈরির অর্ডার পেয়েছে তারা৷
এক কারণ কি? এ কে এম মাসুদ করিম বলেন, ‘‘একদিকে জাহাজ নির্মাণ শ্রমিকদের যথেষ্ট দক্ষতা, অন্যদিকে শ্রমিকদের স্বল্প মজুরিই এই শিল্পকে আরো সম্ভাবনাময় করে তুলেছে বাংলাদেশে৷ এছাড়া, ‘গের্মানিশের লয়েড' সারা বিশ্বে জাহাজ এবং এর যন্ত্রাংশের মান একইরকমভাবে নিরূপণ ও তদারকি করে৷ তাই জাপান, কোরিয়া কিংবা ইউরোপে তৈরি যে কোনো জাহাজের চেয়ে বাংলাদেশের জাহাজের মান কোনো অংশেই কম নয়৷''
মাসুদ করিম-এর কথায়, জার্মান প্রেসিডেন্টের এই সফর দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক আরো মজবুত করবে৷ বাড়াবে উদ্দীপনা৷
প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক