1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শৈথিল্য

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩ মার্চ ২০১৪

বাংলাদেশে উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শৈথিল্যের কারণে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে৷ ডয়চে ভেলেকে এ কথাই জানিয়েছেন জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ বা জানিপপ-এর চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ৷

https://p.dw.com/p/1BITq
Bangladesch Stimmenauszählung 05.01.2014
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images

বাংলাদেশের ৩১টি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন নিয়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কাজ করে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ বা ইডাব্লিউজি৷ তাদের মতে, উপজেলা পরিষদের প্রথম পর্যায়ে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচন ছিল সহিংসতাপূর্ণ৷ ভোটারদের ভয়ভীতি ও জাল ভোটের প্রচেষ্টার কারণে অনেক কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়৷ মানের দিক দিয়েও দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে অধগতি হয়েছে৷

ইডাব্লিউজি-র পরিচালক আবদুল হালিম জানান, ২৭শে ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১১৫টির মধ্যে ৪১টি উপজেলায় ১,২৪৫ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেন তারা৷ তিনি বলেন, ইডাব্লিউজি-র পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বেশ কিছু কেন্দ্রে ব্যাপক সহিংসতা, ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং জাল ভোট প্রদানের চেষ্টায় ভোটগ্রহণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়৷ পর্যবেক্ষক দল ১৬টি উপজেলায় ভোট চলাকালে মোট ৯০টি নির্বাচনি প্রচারণার ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেছেন, যা আইন বহির্ভূত৷ ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেয়া অথবা প্রতিরোধের ৭১টি ঘটনা ঘটেছে তাদের পর্যবেক্ষণ এলাকায়৷ এছাড়া নোয়াখালীতে সহিংসতায় নিহত হয়েছে ১ জন৷

ইডাব্লিউজি-র সদস্য জানিপপ-এর চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ ডয়চে ভেলেকে বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে সহিংসতার কারণ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালনে শৈথিল্য৷ তাঁদের মধ্যে পেশাদারী মনোভাব ছিল না৷ অনেকটা গা-ছাড়া ভাবে তাঁরা নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করেছেন৷ আর এই নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচন কমিশনের তেমন কোনো ভূমিকা নেই৷ কারণ নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা রিটার্নিং ও প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন না৷ যাঁরা দায়িত্ব পালন করছেন তাঁরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে৷ ফলে জাল ভোট এবং সহিংসতা প্রতিরোধে নির্বাচন কশিমনের তেমন কিছু করার নেই৷

ড. কলিমুল্লাহ বলেন, সামনে আরো চারটি ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে৷ তাই এখনই এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেয়া উচিত৷ বিশেষ করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে পেশাদারি মনোভাবে ফিরিয়ে আনতে হবে৷ এছাড়া নির্বাচনি কর্মকর্তাদের প্রভাবমূক্তভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান