চীনের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন চত্বরে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান মাও সেতুং৷ মঙ্গলবার সেই একই স্থানে ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে ১৫ হাজার সেনা এক কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন৷ এরপর সামরিক বাহিনীর আধুনিকতম সমরাস্ত্র প্রদর্শন করা হবে৷ সেনাদের কুচকাওয়াজের পর প্রায় এক লাখ সাধারণ নাগরিক আরেকটি কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন৷ অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং বক্তব্য রাখবেন৷
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় তিয়েনআনমেন চত্বরে আতশবাজি পোড়ানো এবং ৭০ হাজার কবুতর ও ৭০ হাজার বেলুন ওড়ানো হয়েছে৷
রাজধানী বেইজিং চীনের জাতীয় পতাকা, লণ্ঠন, ফুল ও রাজনৈতিক স্লোগান দিয়ে ছেয়ে ফেলা হয়েছে৷
বিক্ষোভের জন্য তৈরি হংকং
প্রায় চার মাস ধরে প্রতি সপ্তাহান্তে হংকংয়ে বিক্ষোভ করছেন গণতন্ত্রপন্থিরা৷ তবে এবার চীনের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে ঘিরে মঙ্গলবার বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা৷
শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ আয়োজনের জন্য পরিচিত ‘সিভিল হিউম্যান রাইটস ফ্রন্ট’ বা সিএইচআরএফ মঙ্গলবার বিক্ষোভের জন্য অনুমতি চাইলে তা প্রত্যাখ্যান করেছে হংকং কর্তৃপক্ষ৷
তবে তারপরও বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন একদল বিক্ষোভকারী৷ তাঁরা সাধারণ মানুষকে রাস্তায় নেমে আসারও আহ্বান জানিয়েছেন৷
পুলিশ কর্মকর্তা জন সে মনে করছেন, হংকংয়ে মঙ্গলবারের বিক্ষোভ ‘খুব খুব বিপজ্জনক’ হবে৷ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তিনি বলছেন, কট্টরপন্থি বিক্ষোভকারীরা পুলিশ ‘হত্যা'র প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন৷
এদিকে, বিক্ষোভের কথা মাথায় রেখে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান এবার ঘরের ভেতর করছে হংকং সরকার৷
জেডএইচ/এআই (এএফপি)