এ বছরই হতে পারে হোলি আর্টিজান মামলার রায়
১ জুলাই ২০১৯২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হামলা চালায় অস্ত্রধারীরা৷ হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জন নিহত হয়৷ উদ্ধার অভিযানে বোমার আঘাতে নিহত হয় পুলিশের দুই কর্মকর্তা৷ পরের দিন সকালে অভিযানে নামে সেনা কমান্ডোরা৷ শেষ হয় জিম্মি দশা৷ অভিযানে পাঁচ হামলাকারী নিহত হয়৷
এ পর্যন্ত মামলায় ৬০ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে৷ ২ জুলাই পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী৷
তিনি জানান, সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার এই মামলাটি আদালতে ওঠে৷ জাহাঙ্গীর আলম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে আমি আশাবাদী, এ বছরেই এ মামলাটির রায় হতে পারে৷'' তাঁর মতে, শুধু দেশের মানুষই নয়, সারা বিশ্বের মানুষ এই মামলার রায়ের অপেক্ষায় আছে৷
তিনি জানান, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মামলা পরিচালনার সকল সুযোগ-সুবিধা তাঁরা পাচ্ছেন৷ একই সঙ্গে আদালতে আসামি পক্ষের জন্যও সমান সুযোগ রাখা হয়েছে বলেও জানান এই আইনজীবী৷
প্রসঙ্গত, হোলি আর্টিজেন বেকারিতে হামলার পর গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ৷ গেল বছরের ২৩ জুলাই ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর৷
চার্জশিটে ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে পুলিশ৷ তাদের মধ্যে আট আসামি বিভিন্ন অভিযানে ও পাঁচজন হোলি আর্টিজানে অভিযানের সময় নিহত হয়৷ এ ছাড়া জীবিত আটজনের মধ্যে ছয়জন কারাগারে এবং বাকি দুজন পলাতক৷
চার্জশিটের পর বিচারের জন্য মামলাটি বদলি করে পাঠানো হয় ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে৷ ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর আট জঙ্গির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয় আদালত৷