শিশু ও নারী রক্ষায় হেল্পলাইন
৭ অক্টোবর ২০১৫এটি একটি হেল্পলাইন৷ কোনো শিশু বা নারী নির্যাতনের শিকার হচ্ছে কিংবা নির্যাতিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে এই নম্বরে ফোন করুন৷ একটা না একটা সহায়তা পাওয়ার আশ্বাস দিচ্ছেন ড. আবুল হোসেন৷ তিনি একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা৷ হটলাইনটির দায়িত্বে তিনিই আছেন৷ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘মাল্টি-সেক্টরাল প্রোগ্রাম অন ভায়োলেন্স অ্যাগেনস্ট উইমেন’ প্রকল্পের পরিচালক ড. হোসেন৷ এই প্রকল্পের আওতায় ২০১২ সালে হেল্পলাইনটি চালু হয়৷ এরপর ২০১৪ সালের ৮ মার্চ থেকে এটি টোল ফ্রি করা হয়৷ অর্থাৎ যে-কোনো মোবাইল কিংবা ল্যান্ডফোন থেকে বিনামূল্যে সেখানে ফোন করা যায়৷ সপ্তাহে সাতদিন, ২৪ ঘণ্টা যে-কোনো সময়৷
ডয়চে ভেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ড. হোসেন একটি উদাহরণ দিয়ে হেল্পলাইনটি কীভাবে কাজ করে সেটি ব্যাখ্যা করেন৷ ‘‘ধরুন কোনো বাসায় কাজের লোককে নির্যাতন করে কেউ আটকে রেখেছে৷ বিষয়টি যদি কেউ আমাদের জানায় তাহলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে তাকে উদ্ধার করতে পারি৷’’
সাম্প্রতিক সময়ে রাজন হত্যার মতো ঘটনা উল্লেখ করে ড. হোসেন বলেন, ‘‘রাজনকে যখন মারা হচ্ছিল তখন কেউ যদি আমাদের ফোন করতো তাহলে হয়ত আমরা তাকে রক্ষা করতে পারতাম৷’’
তবে অধিকাংশ মানুষ নম্বরটি জানে না স্বীকার করে তিনি বলেন, নম্বরটি চালু করার পর বিটিভি সহ বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছিল৷ তাছাড়া মাঝেমধ্যে বিলবোর্ডে নম্বরটি প্রচারের উদ্যোগ নেয়া হয়৷ প্রতিটি মোবাইল ফোন কোম্পানি তাদের গ্রাহকদের বছরে একবার হেল্পলাইন নম্বরটি জানিয়ে বার্তা পাঠায়৷
ড. হোসেন বলেন, কোনো শিশুর যদি যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থেকে থাকে, কিংবা কোনো শিশু যদি যৌন হয়রানির শিকার হয়ে থাকে তাহলে তারা এই নম্বরে ফোন করে সহায়তা চাইতে পারে৷ ‘‘আমাদের সঙ্গে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট থাকেন যিনি বিষয়টি শিশু কিংবা তার মা-বাবার সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন’’, বলেন এই সরকারি কর্মকর্তা৷
হেল্পলাইনে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৮০ থেকে ২০০টি কল আসার কথা উল্লেখ করে ড. হোসেন বলেন কেউ আইনের সহায়তা চাইলে তাকে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর সঙ্গেও যোগাযোগ করিয়ে দেয়া হয়৷
আপনি কি ড. হাসানের সঙ্গে একমত? লিখুন নীচে মন্তব্যের কলামে৷