পদ্মা সেতু
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১২পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক ১২০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি বাতিলের পর সরকার নানা ধরণের উদ্যোগের কথা বলে৷ অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ, মালয়েশিয়ার সঙ্গে চুক্তি – এসব কথা বলা হলেও সরকার বিশ্বব্যাংকের শর্ত পূরণ করে আবার ঋণ পাওয়ার চেষ্টায় নামে৷ সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়া, দুর্নীতির তদন্ত করাসহ একটি বাদে সব শর্তই পূরণ করে৷ আর ঋণ দিতে বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ শর্ত হল প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানকে বিদায় করা৷ এই শর্ত পূরণ করতে সোমবার তিনি একমাসের ছুটিতে গিয়েছেন এমন খবর প্রকাশ করে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম৷ কিন্তু আজ তিনি তাঁর বাসায় সাংবাদিকদের জানান, এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি৷
তিনি উল্টে বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনেন৷ তিনি বলেন, তারা গর্হিত কাজ করেছেন৷ মশিউর রহমান বলেন, এপর্যন্ত বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে ঋণ দেয়ার কোন প্রতিশ্রুতি দেয়নি৷ চিঠি চালাচালি হচ্ছে৷ তাঁর মতে, বিশ্বব্যাংক যদি শেষ পর্যন্ত ঋণ দিতে রাজী হয়, তাহলেও এই সরকারের আমলে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই৷
এদিকে দুদক জানিয়েছে, তারা পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্তে ড. মশিউর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে৷ পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ঋণ বাতিল করলেও এডিবি এবং জাইকা ২১শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে এই আশায় যে এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের ফয়সালা হয়ে যাবে৷ আর এই ফয়সালা করার সময় আছে আর মাত্র ২ দিন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন