1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুজাহিদের ‘রায় কার্যকর দেখতে চাই’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৮ জুলাই ২০১৩

শহিদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের ছেলে শাহীন রেজা নূর আশা করেন, এই সরকারের আমলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর হবে৷ কারণ এই সরকারের সময়ই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠন সম্ভব হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/199od
Ali Ahsan Mohammad Mojaheed, 65, secretary general of the Jamaat-e-Islami party, exits a court after the verdict of his trial, in front of the International Crimes Tribunal-2 in Dhaka July 17, 2013. A Bangladesh war crimes tribunal sentenced top Islamist politician Mojaheed to death on Wednesday for crimes during a 1971 war of independence, as his supporters clashed with security forces in different parts of the country. REUTERS/Stringer (BANGLADESH - Tags: POLITICS CRIME LAW)
ছবি: Reuters

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সিরাজুদ্দীন হোসেন ছিলেন দৈনিক ইত্তেফাকের বার্তা সম্পাদক৷ মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশ যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক সেই সময় ১০ই ডিসেম্বর তাঁকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল আলবদররা৷ এরপর তাঁকে আর তারা ফিরিয়ে দেয়নি৷ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ছিলেন তখন আলবদর কমান্ডার৷ তার নেতৃত্বেই সিরাজুদ্দীন হোসেনকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়৷ এই হত্যাকাণ্ড ট্রাইব্যুনালে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হয়েছে৷ তাই মুজাহিদের ফাঁসির রায়ে সন্তুষ্ট সিরাজুদ্দীন হোসেনের ছেলে শাহীন রেজা নূর৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, তাঁরা ৪২ বছর ধরে এই দিনটির অপক্ষোয় ছিলেন৷ সেই অপেক্ষার অবসান ঘটেছে৷ স্বাধীন বাংলায় ঘাতকদের শাস্তি হয়েছে৷ শহিদের আত্মা আজ তাই শান্তি পাবে৷

শাহীন রেজা নূর বলেন, চরম হতাশায় কেটেছে তাঁদের গত ৪২টি বছর৷ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর, ঘাতকরা আবার স্বরূপে ফিরে আসে, প্রতিষ্ঠিত হয়৷ তারা আবার চলে যায় ক্ষমতার কেন্দ্রে৷ ঘাতকের গাড়িতে ওঠে জাতীয় পতাকা৷ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর আদর্শকে বিদায় করা হয়৷ দেশ ফিরে যায় পাকিস্তানি আদর্শে৷ আর তখন যুদ্ধাপরাধীর বিচার, পিতৃহত্যার বিচার পাওয়া তো দূরের কথা, তাঁদের জন্য বেঁচে থাকাই ছিল কষ্টকর৷ কিন্তু একদিন ন্যায় বিচার পাওয়া যায়৷ কারণ, ঘাতকরা যতই ক্ষমতাধর হোক, তারা ঘাতকই৷

শাহীন রেজা নূর জানান, বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ‘ম্যান্ডেট' নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে৷ তারা তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ করছে৷ ট্রাইব্যুনালও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ৷ এ পর্যন্ত মুজাহিদসহ ছয়জনের শাস্তি হয়েছে৷ সে জন্যই শাহীন রেজা নূরের আশা, এই সরকারের মেয়াদকালেই এসব রায় কার্যকর হবে৷

তিনি অবশ্য বলেন, ‘‘সামনে আরো বাধা আছে৷ যে অশুভ শক্তি আগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না করে ক্ষমতায় বসিয়েছে, তারা এখনও সক্রিয়৷ সক্রিয় যুদ্ধাপরাধীদের দল জামাত-শিবিরও৷ তারা চায় এই বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত করতে৷ তাই তারা প্রতিটি রায়ের পর দেশ জুড়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে৷ তারা হামলা ও সন্ত্রাস করে ভীতির সৃষ্টি করছে৷ আর এই কাজে তাদের মদদ দিচ্ছে তাদের সহযোগিরা৷ কিন্তু তারা সফল হবে না৷ কারণ অশুভ শক্তি শেষ পর্যন্ত সফল হয় না৷''

শাহীন রেজা নূরের কথায়, শুধু ঘাতকদের নয়, যুদ্ধাপরাধীদের দল জামাত-শিবিরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে৷ এই দলটি নয়ত তাদের আস্ফালন অব্যাহত রাখবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য