1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এইচআইভির ভ্যাকসিন আবিষ্কার!

১৯ জুন ২০১৬

আগামী বছরের শেষ নাগাদ নতুন এইচআইভি ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালানো হতে পারে৷ স্ক্রিপস গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীদের গবেষণার অংশ হিসেবে এ কাজটি করা হবে৷ এ দলে আছেন বাঙালি মেয়ে অনিতা সরকার৷

https://p.dw.com/p/1J89l
ভারতে অ্যান্টি এইডস ব়্যালি
ছবি: AP

এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হবে এবং এইচআইভি ভাইরাসের বিস্তারকে রোধ করে ভাইরাসকে অকেজো করে দেবে৷ গত মার্চে এই গবেষণাটি প্রকাশ করা হয়৷ অনলাইনে গবেষণাটি বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক করতে পারেন৷

শুরুতেই এই ভ্যাকসিনটি ভাইরাসকে একেবারে নির্মূল করতে পারবে না৷ তবে শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে৷ গবেষকদের অন্যতম বিজ্ঞানী অনিতা সরকার ভারতীয় বাঙালি৷

২০৩০ সালের মধ্যে এইডস-এর বিস্তার রোধ করতে চায় জাতিসংঘ:

বিশ্বব্যাপী এইডস-এর বিস্তার ২০৩০ সালের মধ্যে রোধে একটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জাতিসংঘ৷ এছাড়া আর ২০২০ সালের মধ্যে ৩ কোটি এইচআইভি আক্রান্ত শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দেবে জাতিসংঘ৷

সমালোচকরা অবশ্য বলছেন, এই লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ হবে না৷ চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে ইউএনএইডস সম্মেলনে এইডস-এর বিস্তার রোধে এই সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়৷ এ সময় রাশিয়া, ইরান এবং পোল্যান্ড জাতিসংঘের কাছে সমকামী এইডস আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যাপারটি উত্থাপন করে৷

জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট মোগেনস লাইকেটফট জানান, এইডস-এর বিস্তার রোধে ‘সাংস্কৃতিক স্পর্শকাতরতা' বড় একটা ভূমিকা রাখছে৷ অন্যদিকে, ইউএনএইডস সংস্থার প্রধান মিশেল সিডিবে জানান, ‘‘জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো ২০২০ সালের মধ্যে নতুন এইচআইভি রোগীর সংখ্যা বছরে ৫ লাখের নীচে নামিয়ে আনবে৷ যেখানে ২০১৫ সালে নতুন এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো ২১ লাখ৷ আর এইচআইভি আক্রান্ত রোগীর মৃতের সংখ্যা ৫ লাখে নামিয়ে আনবে, যেখানে গত বছর প্রাণ হারিয়েছিল ১১ লাখ৷

আর ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী এইডস ছড়িয়ে পড়ার হার একেবারে বন্ধ করার চেষ্টা করবে তারা৷ জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন সতর্ক করে বলেছেন, এইডস নির্মূল করা অনেক কঠিন৷ তবে আগামী পাঁচ বছরে বিশ্বের মানুষ চাইলে এই অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে৷ তিনি আরো জানান, ১৫ বছরে এ ব্যাপারে অনেকটাই অগ্রগতি হয়েছে৷ প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষকে এইডস রোগে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো গেছে৷ যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এই ঘোষণায় মানবাধিকারের প্রতি আরো জোর দেয়া উচিত৷

এবারের সম্মেলনের উদ্বোধন করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি এনদাবা, যাঁর বাবা ২০০৫ সালে এইডস-এ আক্রান্ত হয়ে মারা যান৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি ৩৫টি দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে তাঁরা এইডস রোগীদের ভ্রমণের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়৷

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান