এক পরিচয়পত্রে ১৪ হাজার সিম
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ফেসবুক ও টুইটারে খবরটি শেয়ার করেছেন অনেকে৷ প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, গ্রাহকের হাতে থাকা প্রায় ১৩ কোটি সিমের মধ্যে এক কোটির তথ্য সরকার হাতে পেয়েছে, যার ৭৫ শতাংশই ‘সঠিকভাবে নিবন্ধিত নয়'৷
রফিকুল হোসাইন প্রতিমন্ত্রীর দেয়া এই তথ্য উল্লেখ করে বলেন, ‘‘১০ কোটির (আসলে ১৩ কোটি) মধ্যে মাত্র ১ কোটি সিমের তথ্য সরকারের কাছে৷ এই তথ্য জনগণকে জানানোর আগে মন্ত্রণালয়ের ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল৷''
মেহেদী হাসান শুভ খবরটিতে এতই বিস্মিত হয়েছেন যে, তাঁর প্রকাশভঙ্গী ছিল এরকম, ‘‘কেউ আমারে মাইরালা..''৷
এদিকে, তৌফিক ইমরোজ খালিদি সংবাদটি টুইট করে লিখেছেন, ‘‘তার মানে প্রতিমন্ত্রী (সিম) পুনরায় নিবন্ধনের নির্দেশ দিয়ে ঠিক করেছেন!''
সরকার আগামী বিজয় দিবস থেকে সিম নিবন্ধনে গ্রাহকদের বায়োমট্রিক তথ্য নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ টুইটার ব্যবহারকারী ড. এমআর করিম রেজা মনে করছেন, বাংলাদেশই সম্ভবত প্রথম দেশ হতে যাচ্ছে যেখানে সিম নিবন্ধনের জন্য আঙুলের ছাপ লাগবে৷
অবশ্য ড. রেজার তথ্যটি সঠিক নয়৷ কারণ নাইজেরিয়া ও পাকিস্তানে আগে থেকেই এভাবে সিম নিবন্ধন চলছে৷
ব্র্যাকের হয়ে বাংলাদেশে কাজ করছেন মারিয়া মে৷ তিনি মনে করছেন, পুনরায় সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়ার কারণে মোবাইলের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের (মোবাইল মানি) ক্ষেত্রে কয়েকদিনের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে৷ কিন্তু এই বিষয়টি (সিম নিবন্ধন) অন্য অনেক সমস্যার সমাধান করবে৷
বিশ্ব খাদ্য সংস্থা মোবাইল ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের বন্যা দুর্গত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে৷ মারিয়া মে সম্ভবত এ ধরনের ব্যবস্থায় সাময়িক অসুবিধার কথা বলতে চেয়েছেন৷
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ