সাফল্যকথা
১২ মার্চ ২০১২যশোরের এমএম কলেজের ইংরেজি সাহিত্যের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী মারজান৷ স্বামীর চাকরিসূত্রে যশোরে থাকা৷ কম্পিউটারের প্রতি আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই৷ তাই অষ্টম শ্রেণিতে থাকতেই কম্পিউটারের উপর প্রথম প্রশিক্ষণ নেন তিনি৷ এরপর মাধ্যমিকের পর করেন ডিপ্লোমা৷ ডিজাইনিং এর প্রতি আগ্রহ থাকার কারণে এই বিষয়টা ভালভাবে শেখার চেষ্টা করেছেন৷ আর ইন্টারনেটে সময় কাটাতে গিয়েই ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে তাঁর জানাশোনা৷ সেখান থেকেই শুরু৷ এখন প্রতিমাসে তাঁর গড় আয় ছাড়িয়ে গেছে লক্ষাধিক টাকা৷
মারজান কাজ করেন ফ্রিল্যান্সিং সাইট ‘ওডেস্ক' আর ‘ফ্রিল্যান্সার'এ৷ শুরু করেছিলেন ডাটা এন্ট্রি দিয়ে৷ এরপর ডিজাইনিং, প্রবন্ধ লেখা এসব কাজও করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ডাটা এন্ট্রি দিয়ে শুরু করে ওয়েব ডিজাইন, ছোট ছোট লোগো ডিজাইন এসব কাজ করেছি৷ আর আমি যেহেতু ইংরেজির ছাত্রী তাই লেখালেখির কাজও করছি৷ আসলে যখন যেটা ভাল লাগে তখন সেটাই করি৷''
ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে অনেকের মনে একটা ভয় কাজ করে৷ সেটা হচ্ছে কাজ শেষে টাকা না পাওয়ার ভয়৷ মারজান বলছেন, ভয়টা একদম সত্যি৷ তিনি নিজেও তাঁর প্রথম কাজের টাকাটা পান নি বলে জানান৷ তাই একটা উপদেশ দিলেন তিনি৷ ‘‘কখনোই কোনো ক্লায়েন্টকে বিশ্বাস করা যাবেনা৷ কাজ শুরুর আগেই টাকা নিয়ে রাখতে হবে৷ এমনকি যে ক্লায়েন্টের সঙ্গে আপনি কয়েক বছর ধরে কাজ করছেন তাকেও বিশ্বাস করা যাবে না৷''
কিন্তু যে নতুন ফ্রিল্যান্সার, যার কাজ সম্পর্কে ক্লায়েন্টের কোনো ধারণা নেই, তাকে কেন কাজের আগেই টাকা দেবে? এ ব্যাপারে মারজান বলছেন, ‘‘কেউ যদি কাজ জানে তাহলে সে এক সময় না এক সময় কাজ পাবেই৷ তাকে ধৈর্য্য ধরতে হবে৷ কিন্তু একের পর এক কাজ করে যদি টাকা না পাওয়া যায় তাতে মনোবল ভেঙে যাবে৷ এর চেয়ে ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করাটা ভাল৷''
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কী কী যোগ্যতা থাকতে হবে? মারজান বলছেন, ‘‘কে কোন কাজ করতে চায় সেটা আগে ঠিক করতে হবে৷ তারপর সেটা করার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে৷''
মারজান বলেন ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয়টা নির্ভর করে নিজের ওপর৷ কে কতটা সময় দিতে পারছে, এছাড়া কে কোন কাজ করছে এসবের উপর ভিত্তি করে আয়ের পরিমাণ কমবেশি হয়ে থাকে৷ নিজের আয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে কোনো হিসেব নেই আমি এখন পর্যন্ত কত আয় করেছি৷ তবে মন্দ আয় করিনি!''
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়