একটি লাশ লাইফ জ্যাকেট পরা অবস্থায় ছিল
৩১ ডিসেম্বর ২০১৪অপরদিকে বোর্নিও দ্বীপের উপকূলে জাভা সাগরবক্ষে ৩০ থেকে ৫০ মিটার জলের তলায় বিমানটির ধ্বংসাবশেষের হদিশ পেয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা ‘সোনার' প্রয়োগ করে৷ আবহাওয়া এখনও দুর্যোগপূর্ণ, দুই থেকে তিন মিটার উঁচু ঢেউয়ের ফলে ডুবুরি নামাতে অসুবিধা হচ্ছে৷ বিমানের ব্ল্যাক বক্স বা ভয়েস রেকর্ডারের খোঁজ পাওয়া এ যাবৎ সম্ভব হয়নি৷
ফ্লাইট কিউজেড৮৫০১ গত রবিবার ইন্দোনেশিয়ার সুরাবাইয়া শহর থেকে সিঙ্গাপুর অভিমুখে উড়াল শুরু করার ৪০ মিনিট পরেই সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷ বিমানটি তখন ৩২,০০০ ফুট উচ্চতায় ছিল৷ খারাপ আবহাওয়ার কারণে বৈমানিকরা ৩৮,০০০ ফুট উচ্চতায় ওড়ার অনুমতি চান এবং তাঁদের ৩৪,০০০ ফুট উচ্চতায় ওড়ার অনুমতি দেওয়া হয় – কিন্তু সেই কয়েক মনিটের মধ্যেই বিমানটি অন্তর্হিত হয়৷
একজন ফ্লাইট অ্যাটেন্ডান্টকে যে জামাকাপড় পরা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে, তার অর্থ, বিমানটি অক্ষত অবস্থাতেই সাগরে আছড়ে পড়ে – বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন৷ অপরদিকে লাইফ জ্যাকেট পরা লাশটির অর্থ, বিমানের আরোহীরা আসন্ন বিপদের কথা জানতেন অথবা আন্দাজ করতে পেরেছিলেন এবং লাইফ জ্যাকেট পরে নেওয়ার মতো সময় পেয়েছিলেন৷
সিএনএন প্রমুখ সংস্থা গোড়ায় অন্তত দু'টি লাশের ছবি দেখাচ্ছিল, যেগুলি প্রায় বস্ত্রহীন অবস্থায় সাগরের জলে ভাসছে৷ এই ইমেজগুলি যদি সত্যি হয় এবং তাদের সঠিক অর্থ করা হয়, তাহলে বলতে হবে, নিহতেরা বিপুল উচ্চতা থেকে মাটির দিকে – এক্ষেত্রে পানির দিকে পড়েছেন এবং বাতাস তাদের জামাকাপড় খুলে নিয়েছে৷ তাহলে কি বিমানটি আকাশেই ভেঙে দু'টুকরো হয়ে গিয়েছিল, কিংবা বিমানটির কোনো দরজা খোলা ছিল?
বিমানটির শেষ রাডার ‘ছবি' বলছে, বিমানটি নাকি ঘণ্টায় প্রায় ৬৫৪ কিলোমিটার গতিতে ওপরে উঠছিল, যা এ ধরনের একটি ‘ম্যানোভার'-এর জন্য প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার কম – বলছেন পাইলটরা এবং বিশেষজ্ঞরা৷ কাজেই বিমানটি ‘স্টল' থাকতে পারে, অর্থাৎ বাতাস ছাড়া ঘুড়ির মতো গতি হারিয়ে হঠাৎ নীচে নেমে গিয়ে থাকতে পারে – যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটে৷
এ সব কিছুই জানা যাবে আগামীতে, তদন্ত ও অনুসন্ধানে৷
এসি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)