দক্ষিণ কোরিয়ায় ট্রাম্প
৮ নভেম্বর ২০১৭খারাপ আবহাওয়ার কারণে দুই দেশের সীমান্ত পরিদর্শন করতে পারেননি ট্রাম্প৷ ঘন কুয়াশার কারণে তাঁর হেলিকপ্টার সেখানে নামতে পারেনি৷ তাই এমন নাটকীয় মঞ্চ ছেড়ে উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশ্যে বার্তার জন্য তিনি সংসদে তাঁর ভাষণকেই হাতিয়ার করতে বাধ্য হন৷
ট্রাম্প সে দেশের উদ্দেশ্যে বলেন, একের পর এক নতুন অস্ত্র তাদের মোটেই নিরাপদ করে তুলছে না, উলটে তাদের প্রশাসন ঘোর বিপদে পড়ছে৷ বিশেষ করে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের হুমকি একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না৷ উত্তর কোরিয়াকে একঘরে করে তুলতে তিনি সব দেশের উদ্দেশ্যে আবেদন করেন৷ ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়ার প্রশ্নে অ্যামেরিকা এতকাল যে সংযম দেখিয়ে এসেছে, তাকে দুর্বলতা হিসেবে গণ্য করলে চলবে না৷
তবে সংঘাতের বদলেসংলাপের মাধ্যমে এই সংকট সমাধানের পথও খোলা রাখছেন ট্রাম্প৷ উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন-এর উদ্দেশ্যে তিনি কিছুটা নমনীয় কণ্ঠে বলেন, বর্তমানে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাঁর পিতামহ এমন এক দেশের স্বপ্ন দেখেননি৷ আলোচনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতির উল্লেখ করলেও তাঁর প্রশাসন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা চাইছে কিনা, সে বিষয়ে অবশ্য তিনি কোনো সরাসরি মন্তব্য করেননি৷ উল্লেখ্য, এর আগে ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেবার হুমকিও দিয়েছিলেন৷
এর আগে জাপান সফরের সময়েও তিনি অ্যামেরিকা ও তার সহযোগী দেশগুলির সুরক্ষার উপর জোর দেন৷ জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এমন দুর্দিনের সময়ে ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক আরও জোরদার করে তুলতে কোনো উদ্যোগ বাকি রাখেননি৷
ট্রাম্প চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে এসে পৌঁছেছেন৷ উত্তর কোরিয়াকে বশে আনতে চীনের গুরুত্ব সম্পর্কে তিনি যথেষ্ট সচেতন৷ চীন যথেষ্ট আন্তরিকভাবে উত্তর কোরিয়ার উপর চাপ সৃষ্টি করলে কিম জং উন-এর প্রশাসন সত্যি কঠিন সংকটে পড়বে বলে মনে করা হয়৷ শুধু জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা নয়, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আর্থিক সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য বেইজিংয়ের উপর আরও চাপ দিতে চান ট্রাম্প৷ কোরীয় উপদ্বীপে বেড়ে চলা উত্তেজনার কারণে গোটা অঞ্চলে চীনের নিজস্ব কৌশলগত স্বার্থ বিপন্ন হচ্ছে৷ এই অবস্থায় ট্রাম্পের সফর বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷
এসবি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)