একনজরে শিক্ষার্থীদের ‘নিরাপদ সড়ক আন্দোলন’
বাসচাপায় ২৯ জুলাই দুই সহপাঠীর মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে ২ আগস্ট ঢাকার রাজপথে বিক্ষোভ করেন স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরা, তাদের উপর চালানো হয় হামলা৷ সেদিন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার৷
রাজপথে শিক্ষার্থীরা
ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে ২৯ জুলাই জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকা শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু ঘটে৷ এরপর ফুঁসে ওঠে স্কুল, কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীরা৷ সহপাঠীর এই নির্মম মৃত্যুর প্রতিবাদে রাজপথ দখল করে নেয় তারা৷ বৃহস্পতিবারও ঢাকার বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে৷
শিক্ষার্থীদের নয় দাবি
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সরকারের প্রতি তাদের ন’টি দাবির কথা জানিয়েছেন৷ এ সব দাবির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বেপরোয়া চালকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, নৌ-পরিবহণমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা প্রার্থনা, সারাদেশে নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল ও লাইসেন্স ছাড়া চালকদের গাড়ি চালনা বন্ধ ইত্যাদি৷
টিসি দেয়ার হুমকি
বৃহস্পতিবার ছেলেমেয়ে বিক্ষোভে গেলে টিসি দিয়ে দেওয়া হবে- স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এমন এসএমএস পাওয়ার কথাও জানান কয়েকজন অভিভাবকরা৷ ফেসবুকে আন্দালনকারী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গ্রুপ থেকে নিষেধ না মেনেই রাস্তায় থাকার ঘোষণা দেওয়া হয়৷
বাস চলাচল বন্ধ
ঢাকা থেকে আন্তজেলা পথে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কোনো বাস চলছে না। গাবতলী বাস টার্মিনালে বাস চলাচল বন্ধ করে বাস ভাঙচুরের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। তাঁরা বলছেন, নিরাপত্তাহীনতার কারণে কোনো বাস ছাড়া হচ্ছে না।
পুলিশের লাটিপেটা, ধাওয়া
বাংলাদেশে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে শিক্ষার্থীদের উপর নিরাপত্তা বাহিনীর লাঠিচার্জের দৃশ্য রয়েছে৷ মঙ্গলবার দেশটির এক দৈনিক পত্রিকার ফেসবুক পাতা থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়, যেখানে স্কুলের ইউনিফর্ম পরিহিত এক রক্তাক্ত শিক্ষার্থীকে রিকশায় করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে৷ পুলিশের হামলায় শিক্ষার্থীটি গুরুতর আহত হয় বলে দাবি করা হচ্ছে৷
সন্দেহভাজন বাস চালক এবং সহকারীদের গ্রেপ্তার
এদিকে বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থীর নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই বাসের চালক ও তাদের দুই সহকারীকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ তবে, পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশদিনের রিমান্ডে নেবার আবেদন জানালেও বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন৷