একাত্তরের যুদ্ধ শিশু খুঁজছে বাবা-মাকে
২৮ জানুয়ারি ২০১৩কোহিনুরকে যখন বাংলাদেশ থেকে দত্তক হিসেবে এক দম্পতি নরওয়েতে নেন তখন সে সাড়ে তিন বছরের শিশু৷ একাত্তরে যুদ্ধ শিশু হিসেবে জন্ম নেয়ার পর সে ঢাকায় মাদার টেরেসার চ্যারিটি হোমে ছিল৷ এখন কোহিনুর পরিণত নারী৷ তার ৪ বছরের একটি মেয়ে আছে , নাম সাইদা ফারাহ৷ কোহিনুর নরওতে একজন ব্যালে ড্যান্সার এবং সংগীত শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত৷ থাকেন নরওয়ের রাজধানী অসলোতে৷ কিন্তু বার বার বাংলাদেশে ছুটে আসেন, যদি তার বাবা-মাকে পাওয়া যায় সেই আশায়৷ এ'নিয়ে তিনি চারবার বাংলাদেশে এলেন৷ এবার সঙ্গে তার সন্তানও এসেছে৷
সে জানায় নরওয়েতে একশ'র মত বাংলাদেশি যুদ্ধ শিশু আছেন, যারা এখন নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত৷ তিনি জানেন, মুক্তিযুদ্ধের পর পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে তার মতো আরো অনেক শিশুকে দত্তক হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেতে হয়েছে৷
কোহিনুর বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ায় খুবই খুশি৷ আর আবুল কালাম আযাদের ফাঁসির রায়ের খবরও তার জানা৷ তার মতে যুদ্ধাপরাধীরা এত জঘন্য অপরাধ করেছে যে তারা পালিয়েও বাঁচতে পারবে না৷
কোহিনুর ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা ছেড়ে আবার নরওয়ে চলে যাবেন৷ আর যাওয়ার আগে তার মা-বাবাকে খুঁজে পাওয়ার আশায় একটি কনসার্ট করবেন৷
কোহিনুর অনুরোধ করেছেন, তার মামা-বাবা অথবা আত্মীয় স্বজনকে যদি কেউ চেনেন তাহলে যেন তাকে জানান৷ ঢাকায় ০১৮২৫৭৭৮৯৫৮ এই ফোন নাম্বারে তথ্য জানালে তিনি জানতে পারবেন৷