এখনও কোনো আইনজীবী নিয়োগ করেন নি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরি
৪ অক্টোবর ২০১১জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর, অর্থাৎ আজ, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরির বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয় ট্রাইব্যুনালে৷ প্রসিকিউশন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উত্থাপনের সময় চাইলে, আগামী ১৪ই নভেম্বর অভিযোগ উত্থাপন করতে বলে আদালত৷ যা সাংবাদিকদের জানান, প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জিয়াদ আল মালুম৷
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরির বিরুদ্ধে মূল তদন্ত রিপোর্ট ১১৯ পৃষ্ঠার৷ এর সঙ্গে প্রায় ৮ হাজার পৃষ্ঠার তথ্য, উপাত্ত, ডকুমেন্ট সংযুক্ত করা হয়েছে৷ রয়েছে অডিও, ভিডিও, আলোকচিত্র, পেপার কাটিং, ম্যাপ প্রভৃতি৷ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরির বিরুদ্ধে মোট ৩২টি অভোযোগের ব্যাপারে ১৪৬ জন সাক্ষি দিয়েছেন৷ অ্যাডভোকেট জিয়াদ আল মালুম জানান, একাত্তরে চট্টগ্রামে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরির বাড়িটি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করা হতো৷ তাঁর নেতৃত্বে নতুন চন্দ্র সিংহকে হত্যা করা হয়েছিল৷ আর একদিনে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় চালান হয়েছিল গণহত্যা এবংনি র্যাতন৷ তাঁর বিরুদ্ধে গণহত্যা, লুটপাট, ধর্ষন এবং অগ্নি সংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে৷
অভিযোগ জমা দেওয়ার সময় আদালতে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরির কোনো আইনজীবী ছিলেন না৷ তিনি এখনও পর্যন্ত কোনো আইনজীবী নিয়োগও করেন নি৷ প্রসিকিউশন জানায়, জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধেও শিগগিরই যুদ্ধাপরাধের তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে৷ তাদের মতে, গোলাম আযম যুদ্ধাপরাধের মূল হোতা৷
জামায়াতের শীর্ষ পাঁচজন নেতা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার হলেও, গোলাম আযমকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি৷ প্রসিকিউশন জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হলেই ট্রাইব্যুনালের কাছে গ্রফতারি পরওয়ানা জারির আবেদন জানান হবে৷
এদিকে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, এই সরকারের আমলেই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ হবে৷ আর বিচারের জন্য গঠন করা হবে আরো ট্রাইব্যুনাল৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ