রাজ্য সংগীত মেলা
১৭ এপ্রিল ২০১২গত বছর থেকে রাজ্য সংগীত মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতীত এবং বর্তমানের সংগীত শিল্পীদের সম্মানিত করার যে ‘ট্র্যাডিশন' চালু করেছে বর্তমান রাজ্য সরকার, এবারও তার ব্যাতিক্রম হল না৷ এই বছর সংগীত মহা সম্মান দেওয়া হল প্রবাদপ্রতিম নজরুলগীতি শিল্পী ফিরোজা বেগমকে৷ এখনও যাঁর স্বর্ণকণ্ঠ এই শহরের শ্রোতাদের হৃদয়জুড়ে রয়েছে, সেই ফিরোজা বেগম জানালেন, তিনি অভিভূত৷
‘‘৫৫ বছর ধরে গান গাইতে আসছি কলকাতায়৷ কিন্তু এমন আদর, এত সম্মান আগে কেউ কখনও দেয়নি৷'' - বললেন হিন্দুস্তানী ক্লাসিকাল সংগীতের সবর্জনশ্রদ্ধেয় গায়িকা গিরিজা দেবী৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বর্ষীয়ান গিরিজা দেবী সম্বোধন করলেন বেটি, অর্থাৎ নিজের মেয়ে বলে৷
এঁরা ছাড়াও এবার সংগীত মহাসম্মান দেওয়া হল সুবীর সেন, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, সুমিত্রা সেন, লোকসঙ্গীত শিল্পী অমর পাল এবং পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীকে৷ আর এই বছরের সংগীত সম্মান দেওয়া হল বনশ্রী সেনগুপ্ত, নির্মলা মিশ্র, আরতি মুখোপাধ্যায়, ওস্তাদ রশিদ খান, পূর্ণ দাস বাউল, শ্রীকান্ত আচার্য, স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত, নচিকেতা চক্রবর্তী, মনসুর ফকির এবং শ্রীকুমার সুব্বাকে৷ গিরিজা দেবী যাঁকে নিজের মেয়ে বলে অভিহিত করলেন, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছোট বোন বললেন নির্মলা মিশ্র৷
সম্মানিত হয়ে দৃশ্যতই আবেগতাড়িত পূর্ণদাস বাউল বললেন, দীর্ঘ সময় ধরে তিনি বাংলার বাউল গানকে নিয়ে গিয়েছেন বিশ্বের দরবারে৷ কিন্তু নিজের ঘরে তাঁর এমন সমাদর খুব কমই হয়েছে৷ আর অজয় চক্রবর্তী শ্রদ্ধা জানালেন তাঁর অগ্রজ শিল্পীদের, যাঁদের সঙ্গে এক মঞ্চে থাকতে পেরে তিনি নিজেকে ধন্য মনে করছেন৷
ওস্তাদ রশিদ খান বললেন, বাংলার শিল্পী হিসেবেই তিনি দেশে-বিদেশে পরিচিত৷ সেটাই তাঁর পরম প্রাপ্তি৷
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বললেন যে, তাঁর সরকার থাকবে দুঃস্থ, দরিদ্র সংগীত শিল্পীদের পাশে৷
প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ