এবার গাড়ির সঙ্গে গাড়ির যোগাযোগ
১২ নভেম্বর ২০০৮তারবিহীন নেটওয়ার্ক ডব্লিউ-ল্যান প্রযুক্তির ভিত্তিতে গড়ে ওঠা এই কার-টু-কার কমিউনিকেশনে রাস্তার অবকাঠামো এবং অবস্থা সম্পর্কে তথ্য পাঠিয়ে দেয়া হবে ট্রান্সমিটার ডিটেকটরে৷ এর মাধ্যমেই একটি গাড়ি থেকে আরেকটি গাড়িতে তথ্য পৌঁছে যাবে৷যেমন ধরা যাক, কোন দুর্ঘটনার কারণে রাস্তা হঠাত্ই বন্ধ করে দেয়া হলো৷ এ অবস্থায় একটি গাড়ি তার চেয়ে কয়েক কিলোমিটার পেছনে যে গাড়িটি রয়েছে সেটাকে মুহুর্তের মধ্যেই সংকেত পাঠিয়ে দেবে৷ এর ফলে দ্বিতীয় গাড়ির ড্রাইভার যানজট এড়াতে সহজেই তার রুট পরিবর্তন করতে পারবে কিংবা গতি ধীর করে ফেলবে৷ এভাবে এক গাড়ি থেকে আরেক গাড়িতে তথ্য ছড়িয়ে পড়বে তাত্ক্ষনিকভাবেই৷
ইউরোপের ৩০টি শীর্ষস্থানীয় গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এবং তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গঠিত কার-টু-কার কনসোর্টিয়াম এই প্রকল্পে কাজ করছে৷ এক্ষেত্রে তাদের সাহায্য করছে ইউরোপীয় কমিশন৷ আর এজন্যই এ বছরের শুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে ইইউ-ওয়াইড ফ্রিকুয়েন্সি ব্যান্ডেরও অনুমোদন দিয়েছে কমিশন৷ তারই ভিত্তিতে সম্প্রতি জার্মানিতে হয়ে গেলো কার-টু-কার কমিউনিকেশনের মহড়া৷
নতুন এই যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত ও নির্ভুলভাবে তথ্য আদান-প্রদানের ফলে সড়ক পথ অনেক বেশি নিরাপদ হবে বলে আশা করছে ইউরোপীয় কমিশন৷ ইসি-র টেলিকমিউনিকেশন কমিশনার ভিভিয়ান রেডিং জানিয়েছেন, যানজটের কারণে যে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে তাও এড়ানো সম্ভব হবে৷ ইসি-র হিসেবে, ২০১০ নাল নাগাদ যানজটের কারণে কাজের যে সময় নষ্ট হবে তাকে অর্থের অংকে নিলে তা দাঁড়াবে ১০২ বিলিয়ন ইউরোতে৷
আগামী বছরের শুরুতেই ইইউ-ওয়াইড ফ্রিকুয়েন্সি ব্যান্ড গোটা ইউরোপে ছড়িয়ে দেয়া হলে ইউরোপের রাস্তায় চালু হবে এই কার-টু-কার কমিউনিকেশন সিস্টেম৷ ইউরোপের আগে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানেও এরকম প্রকল্প হাতে নেয়া হয়৷