1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবার পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইউরোপ চাপ দিলো ইরানকে

১৫ জানুয়ারি ২০২০

পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি নিয়ে নতুন করে ইরানের উপর চাপ তৈরি করল জার্মানি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য।

https://p.dw.com/p/3WDf5
ছবি: picture-alliance/abaca/SalamPix

চাপ ছিলই। ইরানের উপর চাপ আরও বাড়ল। এ বার আন্তর্জাতিক পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির উপর চাপ তৈরি করল ইউরোপের তিনটি দেশ। জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স। মঙ্গলবার তারা জানিয়ে দিল, ইরান যদি এখনও এই চুক্তি অমান্য করে চলে, তবে তাদেরও ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

পরমাণু চুক্তি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই ইরানের সঙ্গে সাপে-নেউলে সম্পর্ক অ্যামেরিকার। ইরানের বিরুদ্ধে চরম ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও একাধিকবার দিয়েছে ডনাল্ড ট্রাম্প সরকার। পাল্টা জবাব দিয়েছে ইরানও। সেই বিতর্ক এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে ইরানের প্রভাবশালী জেনারেল কাসিম সোলেইমানিকে হত্যা করে অ্যামেরিকা। কিন্তু তাতেও উত্তেজনা কমেনি, বরং বেড়েছে। অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ইরান। একই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছে, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তির কোনও শর্তই তারা মানবে না। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার সীমাও তারা মেনে নেবে না বলে ইরানের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল।

ইউরোপের তিনটি দেশ এই বিষয়েই প্রশ্ন তুলেছে। জার্মানি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের বক্তব্য, এ ভাবে চলতে থাকলে বিশ্ব জুড়ে পরমাণুঅস্ত্রের যে ভারসাম্য রক্ষিত হচ্ছে, তাতে বিঘ্ন ঘটবে। ফলে ইরানকে বুঝিয়ে দিতে হবে, তারা যা বলছে, বাকি পৃথিবী তা মেনে নিচ্ছে না। যদিও একই সঙ্গে এই তিনটি দেশই বলেছে, অ্যামেরিকা যে ভাবে আগ্রাসী পদ্ধতিতে ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে, তারা তা করবে না। তারা চায় এ বিষয়ে কূটনৈতিক আলোচনার দরজা খুলে যাক। ইরান আলোচনায় বসুক।

রাশিয়াও বিষয়টির সঙ্গে সহমত পোষণ করেছে। কিন্তু ইউরোপের তিনটি দেশ যে ভাবে ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে, রাশিয়া তার বিরোধিতা করেছে। রাশিয়ার বক্তব্য, এমনিতেই যে পরিস্থিতি তৈরি হয়ে আছে, তাতে যুদ্ধের সম্ভাবনা প্রবল। তার উপর এখন ইরানকে এ ভাবে হুমকি দিলে তা পরিস্থিতি আরও জটিল করবে।

ইরান অবশ্য জানিয়েছে, জাতি সঙ্ঘের এই চুক্তিকে বাঁচানোর জন্য যে কোনও গঠনমূলক পদক্ষেপ নিতে তারা তৈরি। অতীতেও তারা তাই করেছে। তবে একই সঙ্গে ইরানের বক্তব্য,  অমান্য করার কোনও ইচ্ছা তাদের নেই। তবে একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, ইউরোপের দেশ গুলি যে হুমকি দিয়েছে, তা বাস্তবে ঘটলে প্রতিক্রিয়া হবে।

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য খুব স্পষ্ট করেই বলেছেন, দীর্ঘ দিন ধরে ইরান চুক্তি লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। আর তা হতে দেওয়া যাবে না। এ বার প্রশ্ন করতেই হবে।

এসজি/জিএইচ (এপি, এএফপি, রয়টার্স)