1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এভারেস্ট জয়ের সনদ পেলেন মুসা ইব্রাহীম

২৬ মে ২০১০

প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ২৩ মে এভারেস্ট জয়ের পর, বুধবার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেলেন মুসা ইব্রাহীম৷ এভারেস্টের উত্তরাংশে অবস্থিত বেসক্যাম্পে তাঁকে এভারেস্ট জয়ের সনদ প্রদান করে দি ‘চায়না তিব্বত মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন'৷

https://p.dw.com/p/NWMl
ছবিটি পুরানো, এভারেস্ট জয়ী মুসার নতুন ছবির জন্য অপেক্ষা করতে হবে (ফাইল ফটো)ছবি: NACB

মুসা ইব্রাহীম, পেশা সাংবাদিক৷ বয়স ৩০ -- এতদিন এই পরিচয় থাকলেও এবার আসল পরিচয়, প্রথম বাংলাদেশী এভারেস্ট জয়ীর নাম মুসা ইব্রাহীম৷ এই জয়ের দু’দিন পর ৫,১৮০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত বেসক্যাম্পে বসেই ডয়চে ভেলেকে সেকথা জানালেন মুসা৷

অগুনতি বাংলাদেশীর গর্ব মুসা ইব্রাহীম জানালেন, ‘‘আমি সেই এভারেস্ট জয় করেছি এবং বাংলাদেশের যে ১৬ কোটি মানুষের একটা আশা ছিল, সেটা আমি পূরণ করতে পেরেছি৷’’

মুসা’র মতে, একজন তরুণের জন্য যদি কোন চ্যালেঞ্জ দেয়া হয়, তাহলে এভারেস্ট হতে পারে সবচেয়ে ভালো চ্যালেঞ্জ৷ আমি একজন তরুণ, সেই তরুণের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এই এভারেস্ট জয় এবং সেটা করেছি৷

জার্মান সময় মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় ডয়চে ভেলেকে এই সাক্ষাৎকার দেন মুসা ইব্রাহীম৷ পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টের উত্তরাংশের বেসক্যাম্পে (তিব্বতের দিকে) তখন সবে নেমেছেন তিনি৷ চীনা এক টেলিফোন নম্বরে মুসাকে প্রশ্ন, এই যাত্রায় কোন বিপদে পড়েননিতো? তিনি জানালেন, ‘‘নর্থ ফেজের দ্বিতীয় ধাপে গিয়ে অক্সিজেন মাস্কের পাইপ লিক হয়ে যায়৷ কিন্তু শেরপারা বুঝতে পেরে সেটিকে সঙ্গে সঙ্গে ঠিক করে ফেলে৷’’

তিনি বলেন, ‘‘৮ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় পাইপ লিক হয়ে যাওয়া সহজ কথা নয়৷ কিন্তু তাও বেঁচে গেছি৷’’

মুসার এভারেস্ট জয়ের খবর ডয়চে ভেলেকে সর্বপ্রথম নিশ্চিত করেছিলেন, নেপালের হিমালয়ান গাইডস এর ঈশ্বরী পাড়ওয়াল৷ সেটা ২৩ মে’র কথা৷ এরপর বাংলাদেশের প্রায় সব সংবাদমাধ্যম এই খবর প্রকাশ করলেও একটু চিন্তা যেন থেকেই যাচ্ছিল৷ মুসা কি সত্যিই জয় করেছেন এভারেস্ট? কেউ কেউ প্রশ্নও তুলেছিল এই বিষয়ে৷ তাই উপায়ান্তর না দেখেই তাঁর কাছে প্রশ্ন, চূড়ায় উঠেছেন তাঁর প্রমাণ কি? জবাবে অভিমানী মুসা, ‘‘কেউ বিশ্বাস যদি না করতে চায় তাহলে কিছু করার নেই৷’’

তিনি বলেন, ‘‘এভারেস্টের চূড়ায় একটি বুদ্ধমূর্তি রয়েছে, যার সঙ্গে ছবি তুলে জমা দিতে পারলে ধরে নেয়া হয় যে, তিনি এভারেস্ট জয় করেছেন৷’’

কিন্তু মুসার আরেকটি মন্তব্য সত্যিই নাড়া দেয়৷ একজন বাংলাদেশী হিসেবে বাংলাদেশীদের উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তব্য, ‘‘মানসিক সঙ্কীর্ণতার বাইরে যেতে পারলে বাংলাদেশের অনেক তরুণ ভালো করতে পারবে৷’’

প্রসঙ্গত, মুসার এবারকার এভারেস্ট মিশন শুরু হয় ২০ এপ্রিল, এভারেস্টের তিব্বতের অংশ দিয়ে৷ ২৩ মে নেপালী সময় সকালে এভারেস্টের চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান তিনি৷ আগামী ২ বা ৩ জুনের মধ্যে বাংলাদেশে ফিরে আসবেন মুসা৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য