এমন বর্ষবরণ আর দেখেনি বিশ্ব

সিডনি হারবারে এবার নতুন বছরকে বরণ করতে ১২ মিনিট ধরে আতশবাজি পোড়ানো হয়৷ করোনার কারণে গুটি কয়েক দর্শক ছিল এই আয়োজনে৷

রাজধানী সৌলে নতুন বছরের কোনো আয়োজন চোখে পড়েনি৷ প্রশাসন সবধরনের বর্ষবরণ আয়োজন বাতিল করেছিল৷ অথচ সৌলে বর্ষ বরণের আয়োজনে রাস্তায় লাখো মানুষের ঢল নামে৷

দুবাইয়ের বুর্জ খলিফায় বরাবরের মতো ইংরেজি নতুন বছরকে বরণ করতে আতশবাজির আয়োজন ছিল৷ আট মিনিটের এই প্রদর্শনী দেখতে সেখানে উপস্থিত ছিল অল্প কয়েকজন দর্শক৷ স্থানীয় প্রশাসন করোনার কারণে শহরজুড়ে কড়াকড়ি জারি করেছে৷

রাজধানী মস্কোর রেড স্কয়ার একেবারে ফাঁকা ছিল৷ ক্রেমলিনের স্পাসকায়া টাওয়ারে আতশবাজির ঝলকানি দেখা গেছে৷ করোনার কারণে মধ্যরাত থেকে বার, রেস্তোরাঁ সব বন্ধ ছিল৷

বার্লিনের ব্রান্ডেনবুর্গ গেটে প্রতি বছর বর্ষবরণে লাখো মানুষ ভিড় করেন আতশবাজি দেখতে ও উদযাপন করতে৷ আর এবার আতশবাজি পোড়ানো হলেও কেবল পুলিশ আর সাংবাদিকের উপস্থিতি ছিল সেখানে৷ টিভিতে লাইভ দেখানো হয়েছে এখানকার আয়োজন৷

রাজধানী প্যারিসে ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টা থেকে জারি হয়েছিল কারফিউ৷ রাস্তায় রাস্তায় টহল ছিল পুলিশের৷ নিউ ইয়ারের আয়োজনে যেখানে ক্যাম্পস এলিসি এভিনিউ লোকে লোকারণ্য হয়ে থাকতো, সেখানে ছিল না কোনো মানুষের উপস্থিতি৷

লন্ডনে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নেয়ায় বাতিল হয়েছিল সবধরনের বর্ষবরণের আয়োজন৷

নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে জনসাধারণের প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ৷ তবে পিটবুল আর জেনিফার লোপেজের পারফর্মেন্স লাইভ দেখানো হয়েছে টিভিতে৷

বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা ধর্মীয় প্রথা মেনে আয়োজন করেন বর্ষবরণের৷

চীনের উহানে বর্ষবরণের আয়োজন ছিল প্রতিবছরের মত স্বাভাবিক৷ কেবল জনগণের মুখে ছিল মাস্ক৷

অকল্যান্ডের স্কাই টাওয়ারে প্রতি বছরের মতোই আতশবাজি পোড়ানো হয়েছে৷ সেখানে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার মাস্ক পরে উপস্থিত ছিলেন অনেকে৷

তাহিয়া মিসর সেতুতে বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে আলোকসজ্জা৷

রাজধানী পিয়ং ইয়ং-এর বর্ষবরণ আয়োজন দেখলে মনে হবে না বিশ্বে কোনো মহামারী দেখা দিয়েছে৷ নাচে গানে ভরপুর আয়োজনে উপস্থিত ছিল হাজারো দর্শক৷ তাদের মুখে মাস্ক থাকলেও ছিল না সামাজিক দূরত্ব৷