এশিয়ায় ক্রিকেটের উত্থান-পতনের বছর ২০১১
২৩ ডিসেম্বর ২০১১এবছরের এপ্রিল মাসে ভারত নিজের মাঠে জিতে নেয় সীমিত ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপ৷ তবে তবে জয়ের আনন্দ স্থায়ী হয়নি৷ওয়ান ডে ইন্টারন্যাশনালে ভারতের অবস্থান চলে যায় পেছনের দিকে৷ এমনকি ভারতের প্রিমিয়ার লীগেও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে, শুরু হয় তদন্ত৷ ইংল্যান্ডের সঙ্গে টেস্ট সিরিজে শোচনীয়ভাবে হারে ভারত৷ তবে শচীন তেন্ডুলকারের একশোতম সেঞ্চুরি উপভোগ করতে অনেকেই আগ্রহী ছিল৷ সবাই সেই প্রতিক্ষিত ক্ষণটির জন্য অপেক্ষা করছিল৷ কিন্তু শচীন তাঁর ভক্তদের হতাশ করেছেন৷ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওভালে টেস্ট সিরিজে তিনি ৯১ রান করেন এবং মুম্বইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৯৪ রান করে আউট হয়ে যান৷ ২৬শে ডিসেম্বর মেলবোর্ন'এ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম টেস্ট৷ সবার আশা, এবার তিনি নিশ্চয়ই শততম সেঞ্চুরির কৃতিত্ব অর্জন করবেন৷
পাকিস্তানের তিনজন ক্রিকেটার সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফএবং মোহাম্মদ আমিরকে ম্যাচ ফিক্সিং- এর অভিযোগে কারদণ্ড দেয়া হয়৷ এর ফলে পাকিস্তানের ক্রিকেট দলকে ঘিরে সন্দেহের দানা বাধতে থাকে আন্তর্জাতিক বিশ্বে৷ তবে খেলার মাঠে পাকিস্তানের মিসবাহ-উল-হক সবাইকে দেখিয়ে দেন যে, আশা এখনো আছে৷ আরব আমিরাতে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে খেলে পাকিস্তান এবং ম্যাচ জিতে নেয়৷ অফ স্পিনার সাইদ আজমল এবছর আন্তর্জাতিক টেস্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট সংগ্রহ করেন৷ এছাড়া শহীদ আফ্রিদি এবং মোহাম্মদ হাফিজও ওয়ান ডে ইন্টারন্যাশনালে শ্রেষ্ঠ ছয় ক্রিকেটারের তালিকায় নিজের আনতে সক্ষম হন৷
২০১১ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরমেন্স ছিল হতাশাজনক৷ এরপরও দারুণ কিছু খেলেনি বাংলাদেশ৷ এমনকি আগস্ট মাসে জিম্বাবোয়ের কাছেও শোচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করেছিল বাংলাদেশ৷ তবে সুখবর হল, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান শেষ টেস্টে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন এবং আইসিসি'র টেস্ট অলরাউন্ডার হিসেবে শীর্ষে পৌঁছে যান৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক