এ্যাঞ্জেলিনা জোলির গায়ের রং নিয়ে বিতর্ক
১৯ জুন ২০১০এর কারণ জোলির গায়ের রং৷ ক্লিওপেট্রার চরিত্রে অভিনয় করার জন্য যে ধরণের গায়ের রং দরকার তার চেয়ে নাকি জোলি অনেক বেশি ফর্সা৷ যুক্তরাষ্ট্রের আফ্রিকা বংশোদ্ভুতরা এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করছেন৷ শিরিয়া ক্যারল নামে এক সমালোচক এক সম্পাদকীয়তে ক্লিওপেট্রা চরিত্রে জোলিকে নেওয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধীতা করে লিখেছেন, এ্যাঞ্জেলিনা জোলির ঠোট যত ভরাটই হোক, কিংবা তিনি যতজন আফ্রিকান শিশুকে দত্তক নেন না কেন কিংবা তিনি তার গায়ের রং যতটাই তামাটে করার চেষ্টা করেন না কেন, আমি মনে করি এই চরিত্র একজন কৃষ্ণাঙ্গ নারীকে দেওয়া হোক৷
তবে কেবল এই প্রথম নয়, জোলিকে নিয়ে এর আগেও একই ধরণের বিতর্ক তৈরি হয়েছিল৷ ২০০৭ সালে তিনি সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লের স্ত্রী মারিয়ান এর চরিত্রে অভিনয় করেন৷ কিন্তু এর জন্য সমলোচনার মুখোমুখি হতে হয় জোলিকে, কারণ মারিয়েন ছিলেন আফ্রিকান বংশোদ্ভুত৷ শেষ পর্যন্ত জোলিকে সমালোচনার হাত থেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হয় ড্যানিয়েল পার্লকেই৷
এদিকে এত আলোচনা-সমালোচনার মূল সুত্র যাকে নিয়ে, সেই ক্লিওপেট্রা দেখতে কেমন ছিলেন? এতদিন ধরে মানুষ জেনে এসেছে, মিশরীয় রাণী ছিলেন অপার সৌন্দর্যের আধার৷ রুপের ছটায় তিনি মুগ্ধ করে ফেলেছিলেন তখনকার রোম সম্রাট জুলিয়াস সিজার এবং জেনারেল মার্ক এন্থনিকে৷ কিন্তু দিন দিন গবেষণায় ক্লিওপেট্রার আসল চেহারার যা বর্ণনা বের হয়ে আসছে তা অনেকটাই আঁতকে ওঠার মত৷ মিশর নিয়ে গবেষকরা জানাচ্ছেন, আসলে ক্লিওপেট্রা ছিলেন খাটো, মোটা এবং একেবারেই সাধারণ৷ এটা যদি সত্যি হয়, তাহলে ভবিষ্যতে হলিউডের চরিত্রেও যে পরিবর্তন আসবে সেটা বলাই যায়৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার