ওজন অস্বাভাবিক কম হওয়ার যন্ত্রণা অনেক
২৩ এপ্রিল ২০১১তরুণী গিয়াদ্রেকে দেখে তার বন্ধু ফ্রাঙ্কের মন্তব্য, ‘ইস্, আমি যদি তোমার মত হতে পারতাম!' এখানে গিয়াদ্রের ওজন অস্বাভাবিক রকমের কম৷ আর ফ্রাঙ্কের উল্টো৷ তার ওজন আবার একটু যেন বেশিই বেশি৷
সারা বিশ্বে ফ্রাঙ্কের মতো লোকের অভাব নেই৷ কিন্তু গিয়াদ্রের মতো লোকের সংখ্যা একটু কমই৷ যেমন জার্মানিতে গিয়াদ্রের মতো মহিলার সংখ্যা শতকরা মাত্র দেড় শতাংশ৷ আর পুরুষদের মধ্যে এই সংখ্যা আরও কম৷ মাত্র ০.৪ শতাংশ৷ পরিসংখ্যানটা জার্মান পুষ্টি সোসাইটির৷ জার্মানির খাদ্য, কৃষি ও কনজিউমার সংরক্ষণ মন্ত্রণালয়ের হয়ে প্রতি চার বছর পরপর তারা পুষ্টির উপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷ সেখানেই দেয়া হয়েছে এসব তথ্য৷
‘জার্মান ডায়েটারি অ্যাডভাইস অ্যান্ড ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক' এর বিজ্ঞানীরা বলছেন একজনের ওজন কম থাকা মানে হলো তার পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব রয়েছে৷ যে কারণে সে নানান রোগে ভুগতে পারে৷ যেমন মাংসপেশির কার্যক্রম ব্যাহত হওয়া এবং রোগশোক থেকে মুক্তি পেতে যথেষ্ট শক্তির অভাব৷
তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন একজন মোটা মানুষ যত সহজে ওজন কমাতে পারে, কম ওজনওয়ালা একজনের পক্ষে ততটা সহজে ওজন বাড়ানো সম্ভব হয় না৷ এর কারণ হলো যাদের ওজন কম তারা হয় বেশি খেতে অনিচ্ছুক, না হয় চাইলেও বেশি খেতে পারে না৷ আবার এমনও আছে যে, হয়তো কেউ ঘোড়ার মতো খেয়েই যাচ্ছে কিন্তু সেটার ফল শরীরে লাগছে না৷ আবার মোটা হওয়ার জন্য বেশি বেশি চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়াও ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন খাদ্য বিষয়ক একজন বিশেষজ্ঞ৷
কিন্তু কেন মানুষের ওজন এত কম হয়? জানা গেছে, মূলত বয়স্করাই এ ধরণের সমস্যায় ভুগতে পারে৷ কারণ হয় তাদের ক্ষুধা লাগে না বা বয়সের কারণে তারা চিবিয়ে খাওয়ার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলেন৷ এছাড়া মারাত্মক অসুখ বা কেমোথেরাপির জন্য যে কোনো বয়সের মানুষের ওজন কমতে পারে৷ প্রচন্ড মানসিক বা আবেগজনিত চাপের কারণে তরুণদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক