ওরা বাঘের ‘বন্ধু’, মানুষেরও বন্ধু
সুন্দরবনে বাঘ কমছে আশঙ্কাজনক হারে৷ বাঘ যাতে বিলুপ্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে এক দল মানুষ৷ তাঁরা ‘বাঘের বন্ধু’, আবার মানুষেরও বন্ধু৷ তাঁদের নিয়েই এই ছবিঘর...৷
বাঘ কমছে
সুন্দরবন এক সময় ছিল রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ‘অভয়ারণ্য’৷ কিন্তু এখন আর নেই৷ আশেপাশে যত জনবসতি বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে বাঘ৷ ২০১৫ সালের এক শুমারি অনুযায়ী, সু্ন্দরবনে মাত্র একশটির মতো রয়েল বেঙ্গল টাইগার রয়েছে৷
বাঘের শত্রু
কেন বাঘ এত দ্রুত কমে যাচ্ছে? কারণ জলবায়ু পরিবর্তন এবং মানুষ৷ বাঘ শিকারি তো আছেই, এর বাইরে সুন্দরবনের আশেপাশের লোকালয়ের মানুষের আক্রমণেও অনেক বাঘের প্রাণ যায়৷ সুন্দরবনে অন্যান্য প্রাণী কমে যাওয়ার ফলে মাঝে মাঝে বাঘ খাবারের খোঁজে লোকালয়ে চলে আসে৷ গৃহৃপালিত পশু, এমনকি কখনো কখনো মানুষের ওপরও হামলা চালায় তারা৷ এ কারণে দেখা মাত্রই মানুষও সংঘবদ্ধ হামলা চালিয়ে বাঘ হত্যা করে৷
বছরে ৬০ জন
বছরে গড়ে অন্তত ৬০ জন মানুষ বাঘের হামলার শিকার হয়৷
মানুষ আর বাঘ বাঁচাতে...
মানুষের হাত থেকে বাঘ এবং বাঘের কবল থেকে মানুষকে বাঁচাতে ২০০৭ সাল থেকে কাজ করে আসছে ‘ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম’ (ভিটিআরটি)৷ প্রথমে সুন্দরবনের কাছের একটি গ্রামে কাজ শুরু করেছিল ছোট্ট একটি দল৷ কাজ মূলত বাঘ সম্পর্কে জনসচতেনতা বাড়ানো এবং সবাইকে বাঘের আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো৷ ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষও আগ্রহী হয়ে উঠছে৷ এখন মোট ৪৯টি ভিটিআরটি টিম রায়েছে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায়৷
সবাই স্বেচ্ছসেবী
ভিটিআরটি-র পক্ষ থেকে মাহবুব আলম জানালেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে বাঘ রক্ষার স্বেচ্ছাসেবামূলক এ প্রয়াস তাঁরা অব্যাহত রাখবেন৷ মাহবুবুর আলমের আরেক পরিচয়, তিনি ‘বাঘ প্রজেক্ট’-এর সমন্বয়কারী৷ ‘বাঘ প্রজেক্ট’ বাংলাদেশভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ‘ওয়াইল্ড টিম’ এবং ইউএসএআইড-এর একটি যৌথ উদ্যোগ৷ প্রকল্পটি ২০১৪ সাল থেকে কাজ শুরু করেছে৷ ২০১৮ সাল পর্যন্ত চলবে তাদের কাজ৷