1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওবামার নির্বাচনি সফর

৩ মে ২০১২

বুধবার ছিল আল-কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী৷ সে দিনের প্রথম প্রহরে আফগানিস্তান সফরে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ ২০১৪ পরবর্তী আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি একটি চুক্তি সই করেন৷

https://p.dw.com/p/14oF8
ছবি: picture-alliance/dpa

রাতের অন্ধকারে আফগানিস্তানে নামল ‘এয়ারফোর্স ওয়ান'৷ ভোরের আলো ফোটার আগেই আবার উড়াল৷ এভাবেই শেষ হয়ে যায় ওবামার ছয় ঘন্টার আফগানিস্তান সফর৷

এর মধ্যে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে একটি চুক্তিতে সই করেন প্রেসিডেন্ট ওবামা৷ বিষয় – ২০১৪ সালে আইসাফ সেনারা চলে যাওয়ার পর আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ৷ চুক্তির মেয়াদটা ১০ বছর৷ অর্থাৎ আপাতত ২০২৪ পর্যন্ত আফগানিস্তানের সঙ্গে থাকছে অ্যামেরিকা৷ এসময় আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও শলা পরামর্শ দেয়ার জন্য কিছু মার্কিন সেনা থেকে যেতে পারেন৷ তবে অ্যামেরিকা সেখানে কোনো স্থায়ী ঘাঁটি গড়বেনা, সেটা মোটামুটি নিশ্চিত৷

আফগান প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়৷ এসময় ওবামা বলেন, ‘‘মার্কিনিরা নয়, আফগানরাও চায় নি, তবুও যুদ্ধ করতে হয়েছে৷ এবং গত ১০ বছর আমরা একসঙ্গে ছিলাম৷'' আগামীতেও আফগানদের সঙ্গে মার্কিনিরা থাকবে, এই আশ্বাস দেন তিনি৷

Indien Sandskulptur Osama bin Laden
ছবি: dapd

এদিকে প্রেসিডেন্ট ওবামা চলে যাওয়ার ঘণ্টা দুই পরে কাবুলের সবচেয়ে সুরক্ষিত এলাকা ‘গ্রিন ভিলেজ' এর নিকট গাড়ি বোমা হামলা চালায় তালেবান৷ এতে সাতজন নিহত হন৷ এরপর দেয়া এক বিবৃতিতে তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘‘এই বোমা হামলা ছিল প্রেসিডেন্ট ওবামার জন্য একটি বার্তা৷ তিনি বা তাঁর সেনারা যে আফগানিস্তানে কখনই স্বাগত নন, এর মাধ্যমে সেটাই বোঝানো হল৷''

যতদিন পর্যন্ত না বিদেশি সেনারা আফগানিস্তান ছেড়ে যাচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত হামলা চলবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছে তালেবান৷ পরবর্তীতে দেয়া আরেক বিবৃতিতে তারা বৃহস্পতিবার থেকে ‘বসন্তকালীন হামলা' শুরুর ঘোষণা দেয়৷ এছাড়া স্বাক্ষরিত চুক্তিকে ‘অবৈধ' বলেছে তালেবান৷ তাদের কথা, এ ধরণের চুক্তি সইয়ের কোনো অধিকার নেই কারজাইয়ের৷

এদিকে, এই সফরের মাধ্যমে ওবামা তাঁর নির্বাচনি প্রচারও সেরে ফেললেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷ কেননা গত বছর ওবামার নির্দেশেই মার্কিন বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা পাকিস্তানে অভিযান চালিয়েছিল৷ তবে রিপাবলিকানরা বলছেন, মার্কিন ঐ বিশেষ বাহিনীর সাফল্যকে নিজের কৃতিত্ব বলে চালিয়ে দিতে চাইছেন ওবামা৷

আফগানিস্তান সফরের আগে ওবামা তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান মিট রমনির প্রতি একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন৷ ওবামা জানতে চেয়েছেন, রমনি প্রেসিডেন্ট থাকলে ওসামার বিরুদ্ধে অভিযানের অনুমতি দিতেন কিনা?

উত্তরে রমনি হ্যাঁ সূচক উত্তর দেন৷ কিন্তু ওসামার মৃত্যুবার্ষিকীকে ঘিরে ‘রাজনীতি' করার ওবামার এই যে মানসিকতা, সেটা ঠিক নয় বলে এর সমালোচনা করেন রমনি৷ তবে ওবামার আফগানিস্তান সফরকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি৷

প্রতিবেদন: এএফপি / জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য