ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শুনানি শুরু হচ্ছে
১৩ নভেম্বর ২০১৯মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবার পর প্রথম তিন বছর ধরে ডনাল্ড ট্রাম্প কোনো রকম সমালোচনার তোয়াক্কা না করে লাগামহীন আচরণ করে গেছেন৷ ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় কার্যকালের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন তিনি৷ নিজের রিপাব্লিকান দল ও অনুগামীদের সমর্থন এখনো অনেকটাই অটুট রয়েছে৷ কিন্তু বুধবার তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ইমপিচমেন্ট তদন্তের শুনানি শুরু হবার পর তার পরিণতি কী হবে, সেই প্রশ্ন তাঁকে বেশ ভাবাচ্ছে৷ ঘোর আপত্তি সত্ত্বেও এই সাংবিধানিক প্রক্রিয়া বন্ধ করতে পারেননি ট্রাম্প৷
কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী সম্পর্কে ক্ষতিকর খবর সংগ্রহ করতে সরাসরি বিদেশি রাষ্ট্রের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেন কিনা এবং মার্কিন সামরিক সাহায্যকে হাতিয়ার করতে পারেন কিনা, ইমপিচমেন্ট তদন্তে সেই বিষয়টি উঠে আসবে৷
বুধবার থেকে মার্কিন প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাকে সংবিধানের প্রতি আনুগত্যের শপথ নিয়ে সংসদীয় কমিটির সামনে সত্য উন্মোচন করতে হবে৷ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপে ট্রাম্প তাঁর পদের মর্যাদা কতটা রক্ষা করেছেন, আইনের সীমা পেরিয়ে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার স্পৃহাকেই প্রাধান্য দিয়েছিলেন কিনা, সেই সত্য উঠে আসবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ বিরোধী ডেমোক্র্যাট দল এই সব সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্টকে পদচ্যুত করার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে৷ তবে সংসদের নিম্ন কক্ষে সাফল্য পেলেও উচ্চ কক্ষে সেই সম্ভাবনা এখনো অত্যন্ত ক্ষীণ৷ সেখানে রিপাব্লিকান দল প্রেসিডেন্টকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে৷ তবে সামান্য মাত্রায় হলেও দলের মধ্যে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থনে ভাটা পড়ছে৷
ইমপিচমেন্ট তদন্তের শুনানি সত্ত্বেও অ্যামেরিকার মানুষের কাছে ট্রাম্পের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতে আপাতত রিপাব্লিকান দল নানা উদ্যোগ নিচ্ছে৷ বৃহস্পতিবার এক সম্মেলনে দলের সমর্থকরা ডেমোক্র্যাটদের উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে৷ ট্রাম্পের ‘অ্যামেরিকা ফার্স্ট' নীতিকে খাটো করতেই বিরোধীরা প্রেসিডেন্টের ক্ষতি করছে বলে সমর্থকরা সোচ্চার হচ্ছে৷
ডেমোক্র্যাটিক দল এই প্রকাশ্য শুনানির সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে যাবতীয় উদ্যোগ নিচ্ছে৷ মঙ্গলবার তারা আরও আটজন সাক্ষীকে তলব করেছে৷ রূদ্ধদ্বার শুনানিতে তাঁরা আগেই বক্তব্য রেখেছেন৷
এসবি/কেএম (এপি, এএফপি)