কচ্ছপ দিয়ে গাছ বাঁচানো!
২৪ জুলাই ২০১৩কচ্ছপ খাবে আর তাতে বেঁচে থাকবে গাছ – শুনলে অবাকই লাগে৷ কিন্তু বাস্তবে তাই হচ্ছে৷ মরিশাসে এমন অনেক প্রাণী এবং গাছপালা ছিল জনসংখ্যার চাপ এবং আরো কিছু কারণে যেসব আজ প্রায় বিলুপ্ত৷ বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী রক্ষার চেষ্টা তো সব জায়গাতেই হয়৷ মরিশাসে চেষ্টাটা হচ্ছে বিচিত্র উপায়ে৷ ইল অঁ আগ্রেতেসের কথাই ধরুন৷ সেখানে কিছুদিন আগেও গরু-ছাগলসহ এমন অনেক প্রাণী ছিল যেগুলো আসলে বহিরাগত৷ অর্থাৎ কোনো না কোনো সময় তাদের বাইরে থেকে আনা হয়েছিল৷ সম্প্রতি সেই প্রাণীগুলোকে একে একে বিদায় করা হয়েছে, কারণ, ওইগুলো থাকলে অতীতে ছিল অথচ এখন নেই – এমন কিছু গাছকে ফিরিয়ে আনা কখনো সম্ভব হবে না৷ গাছগুলোকে চারা অবস্থাতেই গরু-ছাগল খেয়ে ফেলবে৷ তাই আগে গরু-ছাগল বিদায় করা হয়৷ তারপর নিয়ে আসা হয় বিশাল আকৃতির বিশেষ প্রজাতির কিছু কচ্ছপ৷ ওরা যাতে সুস্থ-সবল থাকে সেই ব্যবস্থাও করা হলো৷ তারপর দ্বীপে এনে লাগানো হলো বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া গাছগুলো৷ ফল হয় সেই গাছে৷ কচ্ছপ গরু-ছাগলের মতো চারা গাছ না খেয়ে অপেক্ষায় থাকে সেই ফলের জন্য৷ ফলে থাকে শক্ত শক্ত বীজ৷ এমনিতে সেই বীজ মাটিতে পড়লে ওপরের শক্ত আবরণের জন্য অঙ্কুরোদগম হয় না, ফলে গাছের সংখ্যাবৃদ্ধিও হয় না৷ কিন্তু কচ্ছপ ফল খেলে মলের সঙ্গে সেই বীজ বেরিয়ে আসে আবরণমুক্ত হয়ে৷ ফলে অঙ্কুরোদম হয়, গাছের চারাও হয় সেই বীজ থেকে৷
এভাবেই হারিয়ে যাওয়া গাছপালা এবং প্রাণীকে ফিরিয়ে আনায় কচ্ছপের মতো বিশেষ কিছু প্রাণীকে ব্যবহার করার কৌশল অবলম্বনের কথা ভাবছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা৷ তবে এমন উদ্যোগের সমালোচনাও করছেন কেউ কেউ৷ তাঁদের মতে এভাবে কিছু সমস্যার সাময়িক সমাধান করা গেলেও পরে কিছু ক্ষতিও হবে পরিবেশের৷