1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এইচআইভি সংক্রমণ

২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩

২০০১ সালের চেয়ে বিশ্বে এইচআইভি সংক্রমণের হার এক তৃতীয়াংশ কমে গেছে এবং শিশুদের ক্ষেত্রে তা অর্ধেক হয়ে গেছে৷ সোমবার জাতিসংঘ প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে৷

https://p.dw.com/p/19mcO
ছবি: DW/E.Daneiko

গত বছর বিশ্বে এইচআইভি রোগাক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ২৩ লাখে, যা ২০০১ সালের চেয়ে ৩৩ ভাগ কম৷ আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা ২ লাখ ৬০ হাজার, ২০০৯ এর তুলনায় যা এক তৃতীয়াংশ কমেছে, আর ২০০১ এর চেয়ে কমেছে ৫২ ভাগ৷

ইউএনএইডস এর নির্বাহী পরিচালক মিশেল সিডিবে জানালেন, নতুন করে এইচআইভিতে সংক্রমণের হার দ্রুত কমছে এবং শিশুদের ক্ষেত্রে তা লক্ষ্য করার মতো৷

অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ওষুধ বিতরণের পরিমাণ বাড়ানোর কারণেই গর্ভবতী মায়ের কাছ থেকে তার গর্ভে থাকা শিশুর দেহে এইচআইভি সংক্রমণের হার কমেছে বলে জানালেন তিনি৷ এ কারণেই গত দুই বছরে গর্ভে থাকা শিশুদের এইচআইভিতে সংক্রমিত হওয়ার হার ৯০ ভাগ কমেছে বলে জানান সিডিবে৷

বার্ষিক প্রতিবেদনে সংস্থাটি আরো জানায়, ৬ লাখ ৭০ হাজারের বেশি শিশু এই ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে কেবল প্রতিরক্ষামূলক ওষুধ গ্রহণের কারণে৷

বিশ্বের ৩৩ লাখ তরুণ-তরুণী এখন এইচআইভি সংক্রমণের শিকার, যাদের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগের বসবাস আফ্রিকায়৷ কিন্তু সেখানেও সংক্রমণের হার যতটা কমেছে তা চোখে পড়ার মতো৷

ঘানায় গত বছর ৯০ ভাগ গর্ভবতী মহিলাকে প্রতিরোধক ওষুধ দেয়া হয়েছে, যার ফলে নবজাতকদের মধ্যে সংক্রমণের হার নেমে এসেছে মাত্র ৯ ভাগে, গত তিন বছর আগেও যা ছিল ৩২ ভাগ৷

এমনকি এখন ককটেল নামে একটি ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে, যা এইচআইভি সংক্রমণের হার কমায়, তবে পুরোপুরি নির্মূল করতে পারে না, তবে সংক্রমণে মৃত্যুর হারও কমাতে সাহায্য করে৷

Anonymes Zentrum für AIDS-Untersuchungen in Weißrussland
‘গর্ভবতী মায়ের কাছ থেকে তার গর্ভে থাকা শিশুর দেহে এইচআইভি সংক্রমণের হার কমেছে ’ছবি: DW/E.Daneiko

২৬৯ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে তাদের যে লক্ষ্য সেপথে যাওয়ার সুস্পষ্ট চিত্র ফুটে উঠেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি৷ এইডস রোগে গত বছর ১৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ ২০০৫ সালে যে সংখ্যাটা ছিল ২৩ লাখ৷

নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর ৯৭ লাখ মানুষকে এইচআইভি ড্রাগ দেয়া সম্ভব হয়েছে৷ ২০১৫ সালের মধ্যে এ সংখ্যা ১ কোটি ৫০ লাখে দাঁড়াবে৷ গত বছরের হিসেব অনুযায়ী, বিশ্বে বর্তমানে ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৫৩ লাখ, এদের মধ্যে ৭০ ভাগ মানুষই আফ্রিকার সাহারা অধ্যুষিত এলাকার অধিবাসী৷ ইউরোপের পূর্বাঞ্চল, এশিয়ার মধ্যাঞ্চল, মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকাতে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি৷

তবে, ২০০৮ সালে বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এই খাতে দাতাদের সাহায্যের পরিমাণ অনেক কমে গেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি৷ তাদের লক্ষ্য পূরণের জন্য ২০১৫ সালের মধ্যে ২২ বিলিয়ন ইউরো অর্থসাহায্যের লক্ষ্য ঠিক করেছে জাতিসংঘ৷

এপিবি/জেডএইচ (ডিপিএ/এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য