করোনায় বাড়ছে বাল্যবিবাহের ঝুঁকি
৪ অক্টোবর ২০২০করোনা মহামারি বিশ্বব্যাপী বহু পরিবারকে দারিদ্রের মুখে ঠেলে দিচ্ছে৷ ফলে মেয়েদের মা-বাবারা মনে করছেন, মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেওয়া ছাড়া এই মুহূর্তে তাদের আর কোনো বিকল্প পথ খোলা নেই৷ এক্ষেত্রে নাবালিকার হবু স্বামীর বয়স নিয়ে তারা ভাবছেন না৷ এ কথা বলেন সেভ দ্য চিলড্রেনের পরিচালক ইঙ্গার অ্যাশিং৷ বর্তমান পরিস্থিতি বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে দীর্ঘ কয়েক দশকের সংগ্রামের অগ্রগতিকে রোধ করে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার হুমকি তৈরি করছে বলেও মনে করেন তিনি৷
লন্ডনে সেভ দ্য চিলড্রেনের লিঙ্গসমতা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ গাব্রিয়েলে সাজাবো বলেন, দুঃখজনক বিষয় যে, মহামারি লিঙ্গ বৈষম্যকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে৷ করোনায় স্কুল বন্ধ, মা-বাবারা চাকরি হারাচ্ছেন, লকডাউনে বাড়ছে সহিংসতা আর ধর্ষণ৷ এসব কারণে কন্যার নিরাপত্তার কথা ভেবে মা-বাবারা তাদের নাবালক মেয়েদের জোর করে বিয়ে দিচ্ছেন৷ বিয়ে হলে মেয়ে অন্তত ক্ষুধা আর বঞ্চনা থেকে রক্ষা পাবে বলে তাদের ধারণা৷
এদিকে করোনার কারণে ২০২০ সালে কমপক্ষে আরো পাঁচ লাখ মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেয়া হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সেভ দ্য চিলড্রেনের গ্লোবাল গার্ল হুড প্রতিবেদনে৷ ২০২৫ সালের মধ্যে বাল্য বিবাহের শিকার হতে পারে আরো অতিরিক্ত ২৫ লাখ মেয়ে৷ গত ২৫ বছরের মধ্যে এবারই বাল্যবিবাহের হার সবচেয়ে বেশি ৷ ২০২৫ সালে বাল্যবিবাহের সংখ্যা বেড়ে মোট ছয় কোটি দশ লাখ হতে পারে বলে সংস্থাটি আশঙ্কা করছে৷
এ বছর আগের তুলনায় আরো দশ লাখ বেশি কিশোরী গর্ভবতী হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে৷ মেয়েদের জোর করে বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা বেশি রয়েছে দক্ষিণ এশিয়া, পশ্চিম আফ্রিকা ও ল্যাটিন অ্যামেরিকায়৷ আফগানিস্তান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের মতো সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি৷
এনএস/এসিবি (ইপিডি,কেএনএ,সেভ দ্য চিলড্রেন)