করোনা টাস্ক ফোর্স তৈরির সিদ্ধান্ত বাইডেনের
৯ নভেম্বর ২০২০এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হননি। মার্কিন গণমাধ্যম অবশ্য তাঁকে 'প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট' বলছে। এর মধ্যেই করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য বিশেষ টাস্ক ফোর্স তৈরির পরিকল্পনা করছেন জো বাইডেন। সোমবারই এই টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের নাম ঘোষণা করতে পারেন তিনি। আগামী দুই মাসের জন্য সাময়িক ভাবে তৈরি করা হতে পারে এই টাস্ক ফোর্স। ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের পর এই টাস্ক ফোর্সকেই একটি স্থায়ী চেহারা দেওয়া হতে পারে।
রোববার বাইডেন জানিয়েছেন, দেশের সেরা বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি হবে এই টাস্ক ফোর্স। দলটির প্রথম এবং প্রধান কাজ অ্যামেরিকায় করোনার সংক্রমণ কমানো। দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ, রোগীদের চিকিৎসার পরিকাঠামো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া এবং প্রশাসনকে সে বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া। ভ্যাকসিন আসার পরে তা কী ভাবে দেওয়া হবে, তা নিয়েও সিদ্ধান্ত নেবে এই দলটি।
নির্বাচনী প্রচারেই করোনা নিয়ে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে লাগাতার আক্রমণ করে গিয়েছেন বাইডেন। বার বার অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্পের ভুল সিদ্ধান্তের জন্যই করোনা এ ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ট্রাম্প যে ভাবে বিজ্ঞানীদের অপমান করেছেন, পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন, তার তীব্র বিরোধিতা করেছেন বাইডেন। নির্বাচনী প্রচারেই বাইডেন জানিয়ে দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে তাঁর প্রথম কাজ হবে মার্কিন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি এবং করোনার টাস্ক ফোর্স তৈরি করা। বাইডেন জানিয়েছেন, বৈজ্ঞানিক ভিত্তির উপর তৈরি হবে এই টাস্ক ফোর্স। টাস্ক ফোর্স মানুষের জন্য সহানুভুতির সঙ্গে কাজ করবে।
নির্বাচনী প্রচারে আরও একটি দাবি করেছিলেন বাইডেন। ক্ষমতায় এলে গোটা দেশে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করবেন। এখনো পর্যন্ত সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তের কথা তিনি জানাননি। তবে অনেকেই মনে করছেন, করোনার জন্য তৈরি টাস্কফোর্স এই ধরনের বেশ কিছু নির্দেশ জারি করতে পারে।
ট্রাম্প যে ভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন, তারও তীব্র নিন্দা করেছিলেন বাইডেন। প্রচারেই জানিয়েছিলেন, ক্ষমতায় ফিরলে ফের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় যোগ দেবেন। বস্তুত, ট্রাম্পের এই ধরনের সিদ্ধান্ত গুলিকে উল্টে দেওয়ার জন্য বাইডেনের কংগ্রেসের সমর্থন প্রয়োজন নেই। প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তেই এই কাজগুলি তিনি করতে পারেন। বাইডেন শিবিরের বক্তব্য, দায়িত্ব পাওয়ার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় দ্রুত ফিরে যাওয়া এবং পরিবেশ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক মঞ্চে পুনরায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দ্রুত জানিয়ে দিতে পারেন তিনি।
নিজের ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদেরও এই সপ্তাহের মধ্যে বাইডেন নির্বাচন করে ফেলতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বাইডেনের মতো সিসনড রাজনীতিক কোনো কাজই চটজলদি করবেন না। শপথ গ্রহণের জন্য এখনো দুই মাস সময় আছে হাতে। তার আগে সাংঘাতিক কোনো সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন না। তবে, দেশের করোনা পরিস্থিতি সামলোর জন্য সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। বস্তুত, রোববারই অ্যামেরিকায় করোনার সংক্রমণ ১০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র টেক্সাসেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক মিলিয়ন। চিকিৎসা পরিষেবা ক্রমশ সংকটে পড়ছে।
এসজি/জিএইচ (এপি, রয়টার্স)