1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা টিকার পথে আশার আলো

১৫ জুলাই ২০২০

অ্যামেরিকার এক কোম্পানি চলতি মাসেই দুই বছর মেয়াদের পরীক্ষা শুরু করছে৷ প্রাথমিক সাফল্যের ভিত্তিতে এই টিকাকে ঘিরে আশার আলো দেখা যাচ্ছে, যদিও বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে সতর্ক করে দিচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/3fL7N
প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance/AP Photo/University of Oxford

কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে সংগ্রামে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে টিকা আবিষ্কারের লক্ষ্যে পুরোদমে কাজ চলছে৷ এরই মধ্যে আশার আলো দেখাচ্ছে মার্কিন বায়োটেক কোম্পানি মডার্না৷ আগামী ২৭ জুলাই থেকে সেই কোম্পানি মানুষের উপর এই টিকা পরীক্ষার চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রবেশ করবে বলে ঘোষণা করেছে৷ মঙ্গলবার মডার্না আরও জানিয়েছে যে এই টিকা নিলে মানুষের সুরক্ষা কতটা নিশ্চিত করা সম্ভব, এই পর্যায়ে তা বোঝা যাবে৷

এই টিকা আরএনএ বা জিন-ভিত্তিক প্রথম টিকাগুলির অন্যতম৷ ফলে এই উদ্যোগ সফল হলে প্রথাগত টিকার তুলনায় অনেক দ্রুত বড় আকারের উৎপাদন শুরু করা সম্ভব৷

জুলাই মাসের শেষ থেকে মডার্না কোম্পানির তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩০,০০০ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে৷ তাদের মধ্যে অর্ধেক ১০০ মাইক্রোগ্রাম ডোজের টিকা পাবেন এবং বাকি অর্ধেক প্লসিবো বা কার্যকর নয়, এমন ‘নকল' টিকা পাবেন৷ তারপর গবেষকরা দুই বছর ধরে সেই ব্যাক্তিদের উপর নজর রাখবেন৷ তাদের মধ্যে কেউ আক্রান্ত হলে পরীক্ষা করে দেখা হবে, যে মডার্না কোম্পানির টিকা আদৌ কোভিড-১৯-এর উপসর্গ প্রতিরোধ করতে পেরেছে কিনা৷ এই রোগের মারাত্মক রূপ থেকে মানুষ রক্ষা পেলেই টিকাটিকে সফল হিসেবে গণ্য করা হবে৷ এই গবেষণার মেয়াদ ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত হলেও তার অনেক আগে প্রাথমিক ফলাফল জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

টিকা তৈরির ক্ষেত্রে মডার্না-সহ কিছু কোম্পানির অগ্রগতি সত্ত্বেও বিজ্ঞানীরা উচ্ছ্বাস সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছেন৷ তাঁদের মতে, বাজারে প্রথমে যে সব টিকা আসবে সেগুলি সবচেয়ে কার্যকর ও নিরাপদ নাও হতে পারে৷ আপাতত মাত্র ৪৫ জনের উপর পরীক্ষা চালিয়ে মডার্না যে সাফল্য পেয়েছে, বৃহত্তর পরিসরে সেই সাফল্য এখনই আশা করা যাচ্ছে না৷ তাছাড়া এই টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়েও সংশয় রয়েছে, যদিও টিকার ক্ষেত্রে এমনটা স্বাভাবিক বলে দাবি করা হচ্ছে৷

এমআরএনএ-১২৭৩ নামের এই পরীক্ষামূলক টিকা প্রথম পর্যায়ে ১৮ থেকে ৫৫ এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৫ বছরের বেশি বয়সি মানুষের উপর প্রয়োগ করা হয়েছে৷ বিভিন্ন বয়সের মানুষের উপর এই টিকার প্রভাব নিয়ে এখনো অস্পষ্টতা রয়ে গেছে৷ তাছাড়া এই কোম্পানির আচরণের ভিত্তিতে বাণিজ্যিক স্বার্থ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে৷ বিনামূল্যে অথবা নামমাত্র মূল্যে টিকা গোটা বিশ্বের মানুষের নাগালে আনার ক্ষেত্রে এমন উদ্যোগ কতটা আন্তরিক, সমালোচকরা সেই প্রশ্নও তুলছেন৷

এসবি/জেডএইচ (এএফপি, ডিপিএ)