রোহিঙ্গাদের রক্ষায় নেয়া যত উদ্যোগ
৩ এপ্রিল ২০২০কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেছেন, ‘খুব প্রয়োজন’ না হলে বিদেশিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না৷ তাঁদের কাজের পরিধিও কমাতে বলা হয়েছে৷
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় ক্যাম্পের ভেতর একটি ১০০ শয্য়ার আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি৷ এছাড়া আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ২০০ শয্য়ার একটি হাসপাতালও গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক৷
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলছে, উখিয়া ও টেকনাফে ক্যাম্পের বাইরে প্রায় ১,২০০ শয্যা প্রস্তুত করা হচ্ছে৷
এছাড়া আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা, ইউনিসেফ ও সেভ দ্য চিলড্রেনের সহায়তায় আরও ১,৭০০ শয্য়ার ব্য়বস্থা হচ্ছে বলে জানান ইউএনএইচসিআর-এর কমিউনিকেশনস অফিসার লুইস ডনোভান৷
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের পানি আর সাবান দেয়া হচ্ছে৷ এছাড়া কয়েক হাজার শরণার্থী ও স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে৷
করোনা কীভাবে ছড়ায়, এ থেকে কীভাবে রক্ষা করা যায়, করোনায় কী লক্ষণ দেখা দেয়, আক্রান্ত হলে কী করতে হবে- এসব তথ্য় সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে৷ রোহিঙ্গা, বার্মিজ ও বাংলা ভাষায় এসব লিফলেট লেখা হয়েছে৷
এছাড়া রেডিওতে অনুষ্ঠান, ভিডিও, পোস্টার ইত্য়াদির মাধ্য়মেও রোহিঙ্গাদের সচেতন করা হচ্ছে৷
এসব কাজে মসজিদের ইমাম ও রোহিঙ্গা নেতাদের সহায়তা নেয়া হচ্ছে৷
জেডএইচ/এসিবি (এপি)
গত বছরের ডিসেম্বরের ছবিঘর দেখুন...