1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা ভাইরাস: গরিবের দুই বিপদ

২০ মার্চ ২০২০

বিশ্বের অন্যতম বড় বস্তিকে ঘিরে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাসের বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা৷ তাতে কি কোনো কাজ হবে? বিশ্বের কোনো বস্তির মানুষকে নিয়েই আশার কথা শোনাতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা৷

https://p.dw.com/p/3ZlFN
Brazil Inequality
ছবি: picture alliance/AP Photo

দক্ষিণ অ্যামেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে শতকরা ২০ ভাগ মানুষেরই বাস বস্তিতে৷ ওই অঞ্চলে করোনা ভাইরাস এখনো বেশি ছড়ায়নি৷ কিন্তু বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, একবার ছড়ালে ভয়ংকর হবে পরিস্থিতি৷ খুব স্বল্প আয়ের মানুষেরাই বাস করেন বস্তিতে৷ তাদের প্রায় সবাই অপুষ্টিতে ভুগছে৷ ফলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব কম৷ করোনায় সংক্রমিত হলে বস্তির মানুষের মৃত্যুহার অনেক বেশি হবে বলে সব দেশের সরকারের প্রতি এ বিষয়ে এখন থেকেই সজাগ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশন (পিএএইচও)-এর সহকারী পরিচালক জার্বাস বারবোসা৷

দক্ষিণ অ্যামেরিকার দেশগুলো করোনার বিস্তার রোধ করতে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে৷ সেনাবাহিনীকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে পেরু সরকার৷ কোস্টারিকা আর কলম্বিয়া তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে৷

বিশ্বের সবচেয়ে বড় বস্তিগুলোর একটি ব্রাজিলের রোচিনহা৷ সেখানকার মানুষদের নভেল করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করতে কমিউনিটি রেডিও এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে শুরু হয়েছে প্রচারণা৷

‘সেল্ফ আইসোলেশন' এবং ‘হোম কোয়ারান্টিন' কথা দুটো খুব হাস্যকর হয়ে যাচ্ছে বস্তিবাসীদের বেলায়৷ একটি কক্ষে গাদাগাদি করে যেখানে ১৫ থেকে ২০ জন থাকে, সেখানে করোনায় সংক্রমিত হলে একা আলাদা থাকবে কী করে?

সংক্রমিত না হলেও বস্তিবাসীদের জন্য বিপদ এড়ানো কঠিন৷ বস্তিতে যারা থাকেন, তাদের বেশিরভাগই গৃহকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নির্মাণ শ্রমিক বা ফেরিওয়ালা৷ করোনার কারণে তাদের অনেকেই এখন কর্মহীন৷ একবেলার খাবার জোগাড় করাই তাদের জন্য কঠিন হয়ে উঠছে৷

এসিবি/জেডএইচ (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য