করোনার বিধিনিষেধ মেনেই দুর্গাপুজো হবে
১ অক্টোবর ২০২১পশ্চিমবঙ্গে করোনার বিধিনিষেধ ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হলো। ফলে লোকাল ট্রেন চলবে না। রাতের কার্ফিউ বহাল থাকবে। পুজোর দিনগুলিতে তা কিছুটা শিথিল হলেও করোনার অন্য সব বিধি মানতে হবে।
রাজধানী দিল্লিতে গতবছর পুজো কার্যত হয়নি। মাত্র পাঁচজনের উপস্থিতিতে একদিনেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুজো সেরে ফেলতে হয়েছিল। কিন্তু এবার কর্তৃপক্ষ সীমীত আকারে দুর্গাপুজো ও রামলীলার অনুমতি দিয়েছে। দিল্লি ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি তাদের বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, পুজো প্যান্ডেলের ভিতরে বা তার আশেপাশে মেলা বসবে না, খাবারের কোনো স্টল থাকবে না। মন্ডপের ভিতর কেউ অকারণে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেন না। যতগুলি চেয়ার, তত মানুষকেই থাকতে দেয়া হবে। কতজন থাকতে পারবেন তা প্রশাসন ঠিক করে দেবে। চেয়ার দূরে দূরে রাখতে হবে এবং করোনার সব বিধি মানতে হবে। ২৪ ঘণ্টা ভিডিও তুলে তা কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। যে কোনো বিধি ভাঙলেই শাস্তি পেতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে এখন প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
পশ্চিমবঙ্গেও করোনা বিধি মানার দায় পুরোপুরি জেলা কর্তৃপক্ষের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। মাস্ক, স্যানিটাইজার ও সামাজিক দূরত্বের বিধি নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। মুখ্যসচিব ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন, তিনদিক খোলা প্যান্ডেল করতে হবে, মাস্ক ও স্যানিটাইজার ছাড়া কেউ পুজো দেখতে পারবেন না। পুজো দূর থেকে দেখতে হবে। তার জন্য ব্যারিকেড তৈরি করতে হবে।
কলকাতার কাশী বোস লেন দুর্গাপুজো কমিটির সাধরণ সম্পাদক সোমেন দত্ত আগেই ডয়চে ভেলেকে বলেছিলেন, তাদের সব কর্মকর্তা দুইটি করে টিকা নিয়েছেন। দুই ডোজ টিকা না নিলে তাদের পুজোর কাজ করতে দেয়া হবে না। বাচ্চা ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়তি কড়াকড়ি থাকছে।
এবার যেহেতু অনেকেই দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন, তাই গতবারের তুলনায় বেশি ভিড় হতে পারে বলে প্রশাসন মনে করছে। পুজোর বাজার করতে এমনিতেই প্রচুর ভিড় হচ্ছে। সেখানে করোনার বিধি না মানার অভিযোগ উঠছে। ফলে পুজোর সময় প্রচুর মানুষ রাস্তায় নামলে করোনা বাড়ার একটা সম্ভাবনা থাকছে।
দিল্লির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পার্থপ্রতিম বোস ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, তারা এখন 'বিহেভিয়েরাল ভ্যাকসিন'-এর উপর জোর দিচ্ছেন। এর অর্থ, মানুষ যেমন টিকা নিচ্ছেন, তেমনই তাদের কিছু ব্যবহারগত বিধিনিষেধ পালন করতে হবে। বারবার হাত ধুতে হবে। মাস্ক পরতেই হবে। ন্যূনতম দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বাইরে গেলে অবশ্যই স্যানিটাইজার রাখতে হবে এবং ব্যবহার করতে হবে। না হলে করোনা ছড়াবার আশঙ্কা থাকছে।
উৎসবের মরসুমে তাই বাড়তি সতর্কতা নেয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন চিকিৎসকরা।
জিএইচ/এসজি(সরকারি বিজ্ঞপ্তি)