করোনায় খামারে পশু বেচাকেনা
সংক্রমণ এড়াতে কোরবানির পশু কিনতে উন্মুক্ত হাটের চেয়ে খামারের দিকে বেশি ঝুঁকছেন মানুষ৷ এক্ষেত্রে উচ্চ মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্তদের আগ্রহই বেশি৷ চাহিদা বেশি থাকায় এবার দামও কিছুটা বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের৷
সাজসজ্জা
সাধারণ সময়ে খামারগুলোতে সরাসরি ক্রেতার আসেন না৷ তবে গত কয়েকবছরে ঈদে খামার থেকে গরু কেনার প্রবণতা শুরু হয়েছে৷ ক্রেতাদের অভ্যর্থনা জানাতে খামারগুলোকে সাজানোও হয়েছে তাই নতুনরুপে৷
দর্শক
ঢাকার কিছু খামারে এখন কোরবানিকে সামনে রেখে বিদেশি জাতের অনেক গরু মোটাতাজা করা হয়৷ বিশালাকারের এসব গরু দেখতে ক্রেতাদের পাশাপাশি উৎসাহী মানুষও জড়ো হন৷ এটি সাদিক এগ্রো ফার্মের ছবি৷
গরু দেখা
নারায়নঞ্জের নাবিল এগ্রো থেকে পাঁচটি গরু আগেই কিনে রেখেছে ঢাকার একটি পরিবার৷ ধানমণ্ডি থেকে তারা এসেছেন গরুগুলো দেখতে৷ ঈদের আগেই সেগুলো খামার থেকে পৌঁছে দেয়া হবে তাদের বাড়িতে৷
পরিচ্ছন্নতা
এই খামারটিতে গড়ে ২০ টি গরুর দেখাশোনার জন্য রয়েছে একজন পরিচর্যাকারী৷ কোরবানিকে সামনে রেখে পরিচ্ছন্নতায় রাখা হচ্ছে না কোন ত্রুটি৷
ছুঁয়ে দেখা
নাবিল এগ্রো এবারের কোরবানির জন্য মোট ২৫০ গরু প্রস্তুত করেছে৷ তাদের কাছে ৪০ হাজার টাকা থেকে আট লাখ টাকা দামের গরুও রয়েছে৷
ক্রেতাদের পরামর্শ
সাধারণত এই ধরনের খামারে পরিচিত ক্রেতারা পুরনো সম্পর্কের ভিত্তিতেই গরু কিনতে আসেন বেশি৷ অনেক ক্রেতা অবশ্য একাধিক খামার ঘুরেও দাম যাচাই করে নেন৷ গরু দেখার পর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নিচ্ছেন এই পরিবারের সদস্যরা৷
অর্ধেক বিক্রি শেষ
খামারগুলো দেশি জাতের পাশাপাশি অ্যামেরিকার ব্রাহমা, ইন্ডিয়ান বলদ, শাহিওয়াল, দেশাল, ভূটানি গরুও মোটাতাজা করে৷ ঈদের দিন সাতেক বাকি থাকতেই নামিদামি ফার্মগুলোতে অর্ধেকের বেশি গরু বিক্রি হয়ে গেছে৷ খামার মালিকেরা আশাবাদী যে এবার করোনার প্রভাব সত্ত্বেও বিক্রি ভালো হবে৷
ওজন নেয়া
এই খামারটিতে এক হাজার কেজি পর্যন্ত ওজনের গরু আছে৷ ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই সুবিধার্থে বিক্রির আগে-পরে গরুগুলোর ওজন লিখে রাখা হয়৷
সবচেয়ে বড় গরু
অ্যামেরিকান ব্রাহমা জাতের ‘রোজো’ নামের এই গরুটির বয়স মাত্র সাড়ে তিন বছর৷ দেড় বছর বয়সে এটি আমদানি করেছে সাদিক এগ্রো৷ এখন গরুটির ওজন প্রায় ১৩০০ কেজি, যা দেশে এবারের কোরবানির সবচেয়ে বড় গরু বলে দাবি তাদের৷ পুরান ঢাকার এক ব্যবসায়ী ৩৭ লাখ টাকা দিয়ে ঈদের ১৫ দিন আগেই সেটি কিনে নিয়েছেন৷
রয়েছে ট্যাগ
সাদিক এগ্রোতে কোরবানির উপযোগী প্রায় সাতশো গরু রয়েছে৷ চিহ্নিতকরণে যেন গোলমাল না হয় সেজন্য ট্যাগের নাম্বারগুলো ক্রেতাদের লিখে দেয়া হয়৷
স্বাস্থ্যবিধির প্রতি নজর
খামারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির প্রতিও নজর রাখা হয়েছে৷ যেমন এই খামারটি ক্রেতাদের জন্য হাত ধোয়া ও জীবাণুনাশক টানেলের ব্যবস্থা করেছে৷