কর্মক্ষেত্রে নারীরা – #বিবোল্ডফরচেঞ্জ
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারীর সাফল্য উদযাপনের পাশাপাশি লিঙ্গ সমতার আহ্বানও করা হচ্ছে৷ এই ছবিঘরে থাকছে এমন সব চাকুরিতে নারীরা সাফল্যের কথা, যা আসলে ‘পুরুষের কাজ’ হিসেবে বহুদিন ধরেই বিবেচিত৷
‘দিব্যি টিকে আছি’
নিকারাগুয়ার মানাগুয়ায় অগ্নিনির্বাপক কর্মী হিসেবে কাজ করেন ইয়োলায়না তালাভেরা৷ তাঁর দেশে এটা পুরুষের কাজ হিসেবে বিবেচিত৷ তিনি বলেন, ‘‘অগ্নিনির্বাপক কর্মী হিসেবে কাজ শুরুর পর অনেকেই ভেবেছিলেন যে, আমি এই কাজে বেশি দিন টিকতে পারবো না৷ এর প্রধান কারণ ছিল কঠিন প্রশিক্ষণ৷ আমি অবশ্য প্রমাণ করতে পেরেছি, এ কাজে আমি কোনো পুরুষের চেয়ে কম নই৷’’
‘নিজের দক্ষতায় বিশ্বাস রাখো’
জর্ডানের আম্মানে প্লাম্বার হিসেবে কাজ করেন কাওলা শেখ৷ তিনি অন্যান্য নারীদের এ কাজের জন্য প্রশিক্ষণও দেন৷ তবে সেদেশে, গৃহিনীরা মূলত স্বামীর অনুপস্থিতিতে কাজ চালিয়ে নিতেই এই প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন৷ তিনি বলেন, ‘‘লিঙ্গ বৈষম্য রোধ করতে হলে সব অপারেটিং সেক্টরে নারী এবং পুরুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করতে হবে৷’’
‘সন্তানদের বড় করছেন নারীরা’
ছবির জন্য নিজের নৌকার উপর দাঁড়িয়ে ‘পোজ’ দেয়া ঝিনুক চাষী ভ্যালিরি পিরোন মনে করেন, লিঙ্গ সমতার বিষয়টি ছেলে-মেয়েদের ছোটবেলা থেকেই শিক্ষা দিতে হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘একটি ছেলে যেমন পুতুল নিয়ে খেলতে পারে, একটি বাচ্চা মেয়ে তেমনই খেলতে পারে গাড়ি নিয়ে৷’’
‘আমি পুরুষের চেয়ে ভালো’
ফিলিপাইন্সের দক্ষিণের শহর টুবে-তে ব্যাকহোয় অপারেটর হিসেবে কাজ করেন ফিলিপিনা ওকোল৷ তিন সন্তানের এই জননী নিজের সামর্থ্য নিয়ে আত্মবিশ্বাসী৷ তাঁর এলাকায় অল্প কয়েকজন নারী একইসঙ্গে বড় ট্রাক এবং ব্যাকহোয় চালাতে পারেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি পুরুষদের চেয়ে ভালো, কেননা তাঁরা শুধু ট্রাক চালাতে পারেন আর আমি দু’টোই পারি৷’’
‘লিঙ্গ বৈষম্য ঘটছে’
চীনের বেইজিং শহরে সজ্জাশিল্পী হিসেবে কাজ করেন ডেং কিয়ান৷ তিনি অকপটে স্বীকার করেন যে, মাঝেমাঝে এই কাজে লিঙ্গ বৈষম্যের ঘটনা ঘটে৷ কিন্তু ‘‘এতে আমাদের কিছু করার থাকে না৷ বরং এ ধরনের অসমতার বিষয়গুলো হজম করে সামনে এগিয়ে যেতে হয়’’, বলেন তিনি৷
‘বৈষম্য আমাদের মনের মধ্যে শুরু হয়’
তুরস্কের ইস্তানবুলে ট্রেন চালক হিসেবে কাজ করেন শের্পিল চিগদেম৷ ২৩ বছর আগে তিনি যখন এই কাজের জন্য আবেদন করেছিলেন, তখন তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছিল যে এটা পুরুষের কাজ৷ তিনি এটাও জানতে যে, পরীক্ষায় একজন পুরুষ এবং তাঁর রেজাল্ট যদি একই হয়, তাহলে পুরুষটির কপালেই চাকুরিটা জুটবে৷ ‘‘ফলে পুরুষ প্রার্থীদের চেয়ে ভালো রেজাল্ট করতে আমার অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছিল’’, জানান তিনি৷