চাইল্ড কেয়ার সেন্টার
১৩ জুন ২০১৩চল্লিশ বছরে প্রায় ৪০ হাজার সন্তানের তথ্য নিয়ে ছয়টি নিরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছিল গত সত্তর থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত কর্মজীবী মায়েদের সন্তানরা লেখাপড়ায় প্রত্যাশার চেয়ে মাত্র দুই শতাংশ পিছিয়ে ছিল৷ কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের শিক্ষিকা হিদার যোশি দেখেছেন যে পরিস্থিতি এখন আমূল বদলে গেছে৷ গৃহিণী মায়েদের সন্তানদের তুলনায় কর্মজীবী মায়েদের সন্তানরা লেখাপড়ায় একেবারেই পিছিয়ে নেই৷ বরং কর্মক্ষেত্রেও ভালো করছেন তাঁরা৷
এমন পরিবর্তন কিভাবে সম্ভব হলো? কারণ হিসেবে ‘চাইল্ড কেয়ার' ব্যবস্থার ব্যাপক প্রসারকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন হিদার যোশি৷ ব্রিটেনে আশির দশকে লেবার পার্টি সরকার এ খাতে বিনিয়োগ অনেক বাড়ানোর ফলে এটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন তিনি৷ যতদিন শিশুদের রেখে নিশ্চিন্তে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার মতো জায়গাগুলোর খরচ অনেক বেশি ছিল, ততদিন সাধারণ কর্মজীবী মায়েদের সন্তানদের লেখাপড়ার কিছুটা ক্ষতি হয়েছে৷ কিন্তু সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় চাইল্ড কেয়ার সেন্টার অনেক বেড়ে যাওয়ায়, প্রতিযোগিতার বাজারে খরচ এখন কমে গেছে৷ ফলে যে কোনো কর্মজীবী মা-ই পারেন তাঁর সন্তানকে সেখানে রেখে কাজে যেতে৷ এরই সুফল পাচ্ছে সন্তানরা৷ দেখা গেছে, বর্ণমালা আর সংখ্যা শেখায় কর্মজীবী মায়েদের সন্তানরা একেবারেই পিছিয়ে নেই৷
ব্রিটেনের অফিস আদালতের শতকরা ৪৬ ভাগই নারী৷ সুতরাং চাইল্ড কেয়ার সেন্টার বেশি থাকলে সন্তানদের লেখাপড়ার ন্যূনতম ক্ষতি হতো না – এটা ভেবে আফসোস করতেই পারেন আগের মায়েরা৷ তবে হালের মায়েরা নিজের কাজে পুরোপুরি ব্যস্ত থেকেও সন্তানের উন্নতির বিষয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন৷
এসিবি/ডিজি (রয়টার্স)